চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে রবীন্দ্র জাদেজার বিচ্ছেদ কার্যত নিশ্চিত। ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে যে কোনও প্রকারে বেরিয়ে যাওয়ার রাস্তা খুঁজছেন তারকা অল-রাউন্ডার, এমনটাই খবর।
আইপিএল ২০২২-এর পর থেকেই যে চেন্নাই সুপার কিংসের সঙ্গে জাদেজা কোনও যোগাযোগ রাখেননি, এমন খবর প্রকাশিত হয় টাইমস অফ ইন্ডিয়ায়। টিম হোটেল থেকে সেই যে বেরিয়েছিলেন জাদেজা, ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে আর কোনও যোগসূত্র রাখেননি তিনি। যদিও জাদেজা চেন্নাই সুপার কিংস সংক্রান্ত তাঁর করা সমস্ত টুইট ডিলিট করে আগেই নিজের মনোভাব বুঝিয়ে দিয়েছেন।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, চেন্নাইয়ের তরফেও জাদেজাকে নিয়ে বিশেষ আগ্রহ দেখানো হয়েছে বলে মনে হয় না। কেননা ক্যাপ্টেন ধোনিকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে চেন্নাইয়ে পোস্ট করা ভিডিয়োয় উপস্থিত ছিলেন না জাদেজা।
এমনিতে চেন্নাই সুপার কিংস ক্রিকেটারদের সঙ্গে পরিবারের মতোই যোগাযোগ রাখে সারা বছর। তাছাড়া ক্রিকেটাররা চোট-আঘাত পেলে ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সেটা জানানোও কর্তব্য। অথচ জাদেজা চোট নিয়ে বেঙ্গালুরুর ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে রিহ্যাবে থাকার সময়েও চেন্নাই সুপার কিংসকে এই নিয়ে বিন্দু বিসর্গ জানাননি।
আসলে গত আইপিএলের শুরুতে তাঁকে ক্যাপ্টেন করে টুর্নামেন্টের মাঝপথেই ক্যাপ্টেন্সি কেড়ে নেওয়াকে ভালো চোখে দেখেননি জাদেজা। ফ্র্যাঞ্চাইজির তরফে সেই সময় জানানো হয়েছিল যে, জাদেজা নিজেই নেতৃত্ব ফিরিয়ে দিয়েছেন ধোনিকে। বাস্তবটা যে অন্য কিছু, সেটা বোঝা যায় পরে।
শোনা যাচ্ছে যে, জাদেজার এজেন্ট অন্যন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন ট্রেড উইন্ডো দিয়ে তারকা অল-রাউন্ডারকে দলে নেওয়ার জন্য। যদিও জাদেজার দল ছাড়া নির্ভর করছে চেন্নাই ফ্র্যাঞ্চাইজির উপর। কেননা ট্রেড উইন্ডো দিয়ে অন্য দলে যোগ দেওয়ার জন্য ক্রিকেটাররা নিজেরা নিজেদের নাম নথিভুক্ত করাতে পারেন না। তার জন্য ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। সুতরাং দল বদলাতে চাইলেও চেন্নাই ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে আলোচনা করে তবেই রাস্তা বার করতে হবে জাদেজাকে।