সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে দুরন্ত মেজাজে পাওয়া গিয়েছে ঋদ্ধিমান সাহাকে। এ দিন তিনি যদি ৩৮ বলে ৬৮রানের ইনিংসটি না খেলতেন, তবে হয়তো ম্যাচর ফল অন্য রকম হতেও পারত। কারণ ঋদ্ধির সঙ্গে ওপেন করতে নেমে শুভমন গিল মোটেও ছন্দে ছিলেন না। বেশ নড়বড় করছিলেন। শুভমন ২৪ বলে ২২ করে উমরান মালিকের বলে বোল্ডও হয়ে যান। তবে ঋদ্ধি বুধবার দায়িত্ব নিয়ে গুজরাট টাইটানসের ভিত শক্ত করে দেন। যে ভিতের উপর দাঁড়িয়ে ফুল ফোটান রশিদ খান, রাহুল তেওয়াটিয়ারা।
বুধবার আইপিএলে টসে জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন গুজরাট টাইটানসের অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রান তোলে কেন উইলিয়ামসনের টিম। সেই রান তাড়া করতে নেমে ঢিমেতালে শুরু করেন গুজরাটের ওপেনার শুভমন গিল। তবে রানের গতি বাড়ান বাংলার তারকা কিপার-ব্যাটার। এ দিনের ম্যাচ ৫ উইকেটে জিতে যায় টাইটানস। আর ম্যাচ জেতার পর ঋদ্ধি একটি টুইট করেন। যাতে তাঁর আত্মবিশ্বাস যেন চুঁইয়ে পড়ছিল। তিনি সেই টুইটে নিজের দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে লেখেন, ‘এখনও কাজ শেষ হয়নি। ’
এই টুইটের দু’টি মানে রয়েছে। একটি হল, তাঁর দলের আসল লড়াইটা এখনও বাকি। সবে লিগ পর্বের ৮টি ম্যাচ হয়েছে। প্লে-অফের লড়াইটাই যে এখনও বাকি রয়েছে। প্রসঙ্গত, ৮ ম্যাচের মধ্যে ৭টিতে জিতেছে গুজরাট। তারা ১৪ পয়েন্ট নিয়ে প্লে-অফের দিকে এক পা বাড়িয়ে রেখেছে।
দ্বিতীয় মানেটি সম্ভবত, ঋদ্ধির নিজের লড়াইয়ের কথা বলেছেন। অনেক সমালোচনা, বঞ্চনার উত্তর দেওয়া এখনও বাকি রয়েছে তাঁর। বুধবারের ইনিংসটি দিয়ে সবে জবাব দেওয়া শুরু করেছেন তিনি। এখনও তাঁর সামনে অনেক লড়াই বাকি।
গুজরাট টাইটানসকে জিততে হলে শেষ ওভারে করতে হত ২২ রান। বল করতে এসেছিলেন মার্কো জানসেন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ হয়তো স্বপ্নেও ভাবেনি ২০তম ওভারটি তাদের কাছে বিভীষিকা হয়ে উঠবে।
জানসেনের এই ওভারে প্রথম বলে ছক্কা হাঁকান রাহুল তেওয়াটিয়া। দ্বিতীয় বলে হয় ১ রান। তৃতীয় বলে আবার ছক্কা হাঁকান রশিদ খান। চার নম্বর বলে কোনও রান হয়নি। ২ বলে বাকি ছিল ৯ রান। এর পর বাকি ২ বলে পরপর দু’টি ছক্কা হাঁকিয়ে ৫ উইকেটে দলকে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন রশিদ খান।
১১ বলে অপরাজিত ৩১ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে গুজরাটকে সাফল্য এনে দেন রশিদ। তাঁর এই ইনিংসে রয়েছে ৪টি ছয়। রাহুল তেওয়াটিয়া আবার পাঁচে ব্যাট করতে নেমে ২১ বলে অপরাজিত ৪০ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলেন। এই ইনিংসে দু’টি ছক্কা এবং চারটি বাউন্ডারি রয়েছে। ঋদ্ধি যে ভাবে শুরুটা করেছিলেন, ঠিক সেই বিধ্বংসী মেজাজেই শেষটা করলেন রশিদ-রাহুলরা।