চূড়ান্ত নাটকীয় ম্যাচ। আইপিএলে ফের শেষ ওভারের থ্রিলারের সাক্ষী থাকলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। মিলার-তেওয়াটিয়া জুটি চলতি আইপিএলে অসম্ভবকে সম্ভব করা অভ্যাসে পরিণত করেছিলেন। যদিও সেই ধারাটা তাঁরা বজায় রাখতে পারলেন না। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধেও দুই তারকার সামনে সুযোগ ছিল গুজরাটকে জেতানোর। তবে ড্যানিয়েল স্যামস ছবিটা বদলে দেন।
জয়ের জন্য শেষ ওভারে গুজরাটের দরকার ছিল ৯ রান। স্যামসের প্রথম বলে ১ রান নেন মিলার। দ্বিতীয় বলে কোনও রান হয়নি। তৃতীয় বলে ২ রান নিতে গিয়ে রান-আউট হন রাহুল তেওয়াটিয়া। সুতরাং সেই বলে ১ রান হয়। চতুর্থ বলে সিঙ্গল নেন নবাগত ব্যাটসম্যান রশিদ খান। পঞ্চম বলে কোনও রান সংগ্রহ করতে পারেননি মিলার। শেষ বলে ছক্কা মারলেই ম্যাচ জিতত গুজরাট। তবে শেষ বলেও মিলারকে পরাস্ত করেন স্যামস। শেষ ওভারে মাত্র ৩ রান ওঠে। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৫ রানের উত্তেজক জয় ছিনিয়ে নেয় শেষ পর্যন্ত।
সেই সঙ্গেই মুম্বই গড়ে ফেলল নয়া নজিরও। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সই একমাত্র দল, যারা নিজেরা লাস্টবয় হয়ে শীর্ষে থাকা গুজরাট টাইটানসের বিরুদ্ধে লক্ষ্য রক্ষা করে ম্যাচ জিতে যায়। এমনটা এর আগে আইপিএলে ঘটেনি।
ব্র্যাবোর্নে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে মুম্বই। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৭৭ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে গুজরাট আটকে যায় ৫ উইকেটে ১৭২ রানে। চলতি আইপিএলে এটি মুম্বইয়ের ১০ ম্যাচে দ্বিতীয় জয়।
মুম্বইয়ের হয়ে ইশান কিষাণ ৪৫, রোহিত শর্মা ৪৩, সূর্যকুমার যাদব ১৩, তিলক বর্মা ২১, কায়রন পোলার্ড ৪ ও টিম ডেভিড অপরাজিত ৪৪ রান করেন। রশিদ খান ২টি এবং আলজারি জোসেফ, লকি ফার্গুসন ও প্রদীপ সাঙ্গওয়ান ১টি করে উইকেট দখল করেন।
গুজরাটের হয়ে ঋদ্ধিমান সাহা ৫৫, শুভমন গিল ৫২, হার্দিক পান্ডিয়া ২৪, সাই সুদর্শন ১৪, রাহুল তেওয়াটিয়া ৩ ও ডেভিড মিলার অপরাজিত ১৯ রান করেন। মুরুগান অশ্বিন ২টি ও পোলার্ড ১টি উইকেট নেন। রান-আউট হন পান্ডিয়া ও তেওয়াটিয়া। ম্যাচের সেরা হয়েছেন টিম ডেভিড।
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স নিজেদের প্রথম ৮ ম্যাচে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নিশ্চিত করে ফেলে। নিজেদের নাক কাটার পরে এবার অন্যের যাত্রাভঙ্গ জারি রাখেন রোহিত শর্মারা। আগের ম্যাচে রাজস্থান রয়্যালসের উৎসব মাটি করে মুম্বই। এবার লিগ টপার গুজরাটকে হতাশ করে পল্টনরা।