আইপিএলের প্লে-অফে কোন চারটি দল যাবে, তা কার্যত ঠিক হয়ে গেল। বড়সড় অঘটন না ঘটলে অভিষেকেই শেষ চারে চলে যাবে গুজরাট টাইটানস এবং লখনউ সুপার জায়েন্টস। নয়া দুই দলের সঙ্গী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছে রাজস্থান রয়্যালস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। দুই দলের রাস্তা কার্যত কাঁটা মুক্ত হয়ে গিয়েছে।
রবিবার দিল্লি ক্যাপিটালসকে ৯১ রানে গুঁড়িয়ে দিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। যে দিল্লি প্লে-অফের দৌড়ে প্রবলভাবে ছিল। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে হারের পর সেই স্বপ্নে ধাক্কা লেগেছে। ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন ঋষভ পন্তরা। এক ম্যাচ বেশি খেলে ১৪ পয়েন্ট-সহ চার নম্বরে আছে ব্যাঙ্গালোর। যে দল দুপুরেই সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে হারিয়েছে। তার ফলে ১১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকায় ছয় নম্বরে আছেন কেন উইলিয়ামসনরা।
সেই পরিস্থিতিতে রবিবার যদি দিল্লি জিতে যেত, তাহলে বিরাট কোহলিদের থেকে সুবিধাজনক পরিস্থিতিতে থাকত। কারণ দিল্লির নেট রানরেট অনেক ভালো। সেক্ষেত্রে চতুর্থ দল হিসেবে প্লে-অফে ওঠার দৌড়ে এগিয়ে থাকত দিল্লি। কিন্তু পন্তদের গুঁড়িয়ে দিয়ে বিরাটদের প্লে-অফের রাস্তা অনেকটা পরিষ্কার করে দিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনিরা। যে বিরাট এখনও আইপিএল ট্রফি জয়ের স্বাদ পাননি। এবার তাঁরা নিজেদের বাকি দুটি ম্যাচ জিতলেই আইপিএল ট্রফি জয়ের ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ পার করবেন। কারও উপর নির্ভর করতে হবে না।
অন্যদিকে, আপাতত লিগ তালিকায় শীর্ষে আছে লখনউ এবং গুজরাট। দু’দলেরই পয়েন্ট ১৬। সেক্ষেত্রে কার্যত প্লে-অফের টিকিট কার্যত নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। একটি ম্যাচ জিতলেই প্লে-অফের টিকিটও ‘কনফার্মড’ হয়ে যাবে। সমসংখ্যক ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে রাজস্থান। দিল্লির হারের ফলে বাকি তিনটি ম্যাচের একটিতে জিতেই প্লে-অফে চলে যেতে পারবেন সঞ্জু স্যামসনরা। দুটি ম্যাচ জিতলে তো শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত। যেটা রবিবার দিল্লি জিতলে নাও হতে পারত। কারণ সেক্ষেত্রে দিল্লির সর্বোচ্চ পয়েন্ট হতে পারত ১৮। এখন যা ১৬-র বেশি হবে না।