1/6শুক্রবার ছিল মরণ-বাঁচন ম্যাচ। আর এই ম্যাচ জিততে যে আগ্রাসন বা জেদের প্রয়োজন ছিল, সেটা পাওয়া যায়নি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের মধ্যে। লখনউ সুপার জায়ান্টসকে যে আগ্রাসন নিয়ে ইডেনে হারিয়েছিল, তার ছিটেফোঁটা থাকলেও, এ দিন হয়তো হারতে হত না ব্যাঙ্গালোরকে। হয়তো দলের মধ্যে আত্মতুষ্টি এসে পড়েছিল। যার খেসারতই ম্যাচ হেরে দিল ব্যাঙ্গালোর।
2/6রজত পতিদারের ৫৮ রান ছাড়া বেঙ্গালুরুর আর কোনও ব্যাটসম্যান এ দিন সে ভাবে খেলতেই পারেননি। বিরাট কোহলি, ফ্যাফ ডু’প্লেসি, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, দীনেশ কার্তিকরা আসল ম্যাচেই ডোবালেন।
3/6বাটলারের যখন ৬৬ রান, তখন তাঁর সহজ একটি ক্যাচ মিস করেন দীনেশ কার্তিক। হার্ষাল প্যাটেলের বলে খোঁচা মারেন ব্রিটিশ তারকা। কিন্তু উইকেটের পিছনে ক্যাচ ফস্কান ডিকে। সেখানেই ম্যাচ হাত থেকে বেরিয়ে যায়। উল্টে বাটলারের ধামাকাদার পারফরম্যান্সের হাত ধরে, তাঁর অপরাজিত ১০৬ রানের সৌজন্যে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় রাজস্থান।
4/6বিরাট কোহলি এ বার আইপিএলে চূড়ান্ত ব্যর্থ। এক আধটা ম্যাচে জ্বলে উঠলেও সার্বিক ভাবে তিনি ব্যর্থ। এমন কী প্লে-অফের কোনও ম্যাচেই কোহলিকে তাঁর ছন্দে পাওয়া যায়নি। তাঁর হতাশাজনক পারফরম্যান্সের ধারা বজায় ছিল কোয়ালিফায়ার টু-তেও। আরসিবি-র ছিটকে যাওয়ার পিছনে এবং রাজস্থানকে বড় রানের লক্ষ্য দিতে না পারার বড় কারণই হল কোহলির ফর্মে না থাকা।
5/6রাজস্থানের যুজবেন্দ্র চাহাল এ দিন কিছুটা নিরাশ করেছেন। কিন্তু প্রসিধ কৃষ্ণ, ম্যাকয়েরা বেশ ভালো বোলিং করেছেন। যে কারণে ৭ উইকেটে ১৫৭ রানে শেষ হয়ে যায় ব্যাঙ্গালোরের ইনিংস। উল্টোদিকে মহম্মদ সিরাজ, শাহবাজ আহমেদরা হরির লুটের মতো রান বিলিয়েছে।
6/6আরসিবি-র মধ্যে শুরু থেকেই ধারাবাহিকতা ছিল না। প্লে-অফে এসে একই কারণে হোঁচট খেল তারা। আর ব্যাঙ্গালোরের ব্যাটাররা এ বার ধারাবাহিকতার ধারপাশ দিয়ে হাঁটেনি। বোলারদের দশাও কিন্তু তথৈবচ।