করোনা, লকডাউন নিয়ে যখন গোটা দেশ ব্রিবত। সে সময়ে নিজেকে ক্রিকেটার হিসেবে নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি করার জন্য কঠোর পরিশ্রম চালিয়ে গিয়েছেন মুম্বইয়ের তরুণ ক্রিকেটার। যে ওজনের কারণে প্রতিভা থাকা সত্ত্বেও বড় সুযোগ পাচ্ছিলেন না, সেই ওজনই তিনি লকডাউনের মধ্যে কমিয়ে ৮৬ কেজি থেকে করে ফেলেন ৬৭ কেজি। আর এতেই বাজিমাত করেন ২২ বছরের লেগ স্পিনার প্রশান্ত সোলাঙ্কি। ওজন কমানোর ফলও তিনি হাতেনাতেই পান।
সিএসকে-র নেটবোলার হিসেবে নজর কেড়েছিলেন সোলাঙ্কি। কিন্তু ওজন বেশি থাকায় তেমন গুরুত্ব পাননি। আর ওজন কমাতেই হয়ে গেলেন কোটিপতি। এ বারের নিলামে তাদের সেই নেট বোলারকেই ১.২ কোটি টাকা দিয়ে কিনে নিয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
আসলে ওজন কমানোর পর প্রথমে তিনি ডাক পান ২০২০-২১ মরশুমের অনূর্ধ্ব ২৩ মুম্বই দলে। বিজয় হজারে ট্রফির জন্য। সেই সুযোগ কাজে লাগাতে কোনও ভুল করেননি প্রশান্ত। ৬ ম্যাচ খেলে ১৫ উইকেট নিয়ে নজর কাড়েন মুম্বই সিনিয়র দলের নির্বাচকদের। ২২ বছরের ক্রিকেটার সুযোগ পেয়েছেন মুম্বইয়ের রঞ্জি দলে।
এখন সোলাঙ্কি রয়েছেন আমদাবাদে। মুম্বইয়ের রঞ্জি দলের সঙ্গে। সেখানেই সতীর্থদের সঙ্গে হোটেলে বসে নিলাম দেখেছেন। আর চেন্নাই সুপার কিংস তাঁকে কিনে নেওয়ায় উচ্ছ্বসিত প্রশান্ত সোলাঙ্কি। তিনি বলেছেন, তাঁর বহু দিনের স্বপ্ন এ বার পূরণ হল।
মুম্বইয়ের তরুণের দাবি, ‘আমার নাম নিলামে উঠতেই প্রচন্ড টেনশন শুরু হয়ে গিয়েছিল। প্রার্থনা করছিলাম কেউ যেন আমাকে নেয়। সিএসকে আমাকে দলে নেওয়ায় বহু দিনের স্বপ্ন যেন পূরণ হয়েছে।’
তবে নিলামে চেন্নাই ছাড়াও প্রশান্ত সোলাঙ্কিকে নিয়ে টানাটানি চলেছিল রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গে। যে কারণে তাঁর দামও বেড়ে যায়। তিনি নিজেও ভাবেননি কোটি টাকা তাঁর দাম উঠবে। সোলাঙ্কি বলেছেন, ‘ছোট থেকেই আমার ওজন বেশি ছিল। এটা নিয়ে কখনও-ই সচেতন ছিলাম না। ফিটনেসে উন্নতি করার বদলে ভাল পারফরম্যান্সই করাটাই আমার আসল লক্ষ্য থাকত। একটা সময় সকলেই আমার ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। তখন বুঝি, আমার কেরিয়ারে বড় বাধা আমার ওজনই। লকডাউনের সময় অতিরিক্ত ওজন কমিয়ে ফেলার চেষ্টা শুরু করি। বাড়িতে যা সরঞ্জাম আছে, তা দিয়েই দিনে দু’বেলা ট্রেনিং করেছিলাম। ট্রেনিংয়ের পরিমাণ বাড়াই। ডায়েট চার্ট মেনে খাওয়া কমাই। কয়েক মাসের চেষ্টাতে ফল পেয়েছি।’