আইপিএলে মরশুমের প্রথম চার ম্যাচের সবকটি জিতে দুরন্তভাবে শুরু করেছিল বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। তবে হঠাৎই ছন্দপতন। শেষ পাঁচ ম্যাচের মাত্র একটিতে জিতেছে আরসিবি। কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিরুদ্ধে পর্যদুস্ত হওয়ার পরে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধেও হারতে হয় তাঁদের। ম্যাচে পরিকল্পনার বাস্তবায়নের অভাবকেই পরাজয়ের জন্য দায়ী করলেন ক্যাপ্টেন কোহলি।
সিএসকের বিরুদ্ধে শুরুটা কিন্তু দারুণভাবেই করেছিল আরসিবি। ওপেনিং পার্টনারশিপেই কোহলিরা ১১১ রান যোগ করেন। বিরাট কোহলি ৫৩ রান করে আউট হলেও দেবদূত পাডিক্কাল ৭০ রানের ঝাঁ-চকচকে ইনিংস খেলেন। এমনকী ১০ ওভারের মধ্যেই ৯০ রান করে ফেলে আরসিবি। তা সত্ত্বেও নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র ১৫৬ রানেই আটকে যায় তাদের ইনিংস। স্বাভাবিকভাবেই এমন অবস্থা থেকে ম্যাচ হারে চিন্তার ভাজ কোহলির কপালে।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
ম্যাচের পর কোহলি বলেন, ‘আমরা ১৭৫ রান মতো তুলতে পারলে, তা জয়ের জন্য যথেষ্ট হত, তবে তা আমরা করতে পারিনি। পিচে বেশ মদত থাকলেও আমাদের বোলাররাও তাঁর লাভ তুলতে ব্যর্থ হয়। ওরা আমাদের ইনিংসের শেষে নির্ভুল ইয়র্কার করাসহ দুর্দান্ত বোলিং করলেও আমরা শুরুতেই ওদের প্রচুর বাউন্ডারি মারার বল দিই। ওদের বল তো আমরা মারতেই পারছিলাম না। অপরদিকে, আমরা ওদের বিরুদ্ধে নিজেদের পরিকল্পনাও ঠিকভাবে বাস্তবায়িত করতে পারিনি। প্রথম পাঁচ ওভারে ওই এক্স-ফ্যাক্টারটাই আমাদের বোলিংয়ে ছিল না।’
টুর্নামেন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পরপর ম্যাচ হেরে স্বাভাবিকভাবেভাবেই চাপে বিরাট। আরসিবি অধিনায়ক স্বীকার করে নিচ্ছেন, ‘শীঘ্রই দলকে জয়ের পথে ফিরতে হবে। আমরা প্রয়োজনীয় মুহূর্তগুলোকে জিততে ব্যর্থ হই। দ্রুতই দলকে জয়ের রাস্তায় ফিরতে হবে। সত্যি বলতে প্রথম ম্যাচের থেকেই এই পরাজয় বেশি হতাশাজনক, কারণ আমরা ম্যাচে এগিয়ে গিয়েই প্রতিপক্ষকে ম্যাচ জেতার সুযোগ করে দিই। এটা দলহিসাবে আমাদের কাছে একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।’ দাবি কোহলির। মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বিরুদ্ধে নিজেদের পরবর্তী ম্যাচে মাঠে নামবে আরসিবি।