এই বছর বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা হতে চলেছে বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের শহরে। ২১ নভেম্বর ভারত-নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আর ঠিক তার পরেই ৪ ডিসেম্বর বিসিসিআইয়ের বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজিত হবে কলকাতায়। বাইপাসের ধারে এক বিলাসবহুল হোটেল এই সভা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গিয়েছে।
এই বছরের সভায় প্রেসিডেন্ট, সচিব কিংবা কোষাধ্যক্ষ পদে কোনও নির্বাচন থাকছে না। সৌরভ, জয় শাহদের পদের মেয়াদ সংক্রান্ত বিষয়ে ইতিমধ্যে আদালতের বিচারাধীন। তবে বিসিসিআইয়ের গভর্নিং কাউন্সিলে দু’জনের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে। স্বভাবতই এই দু’টি জায়গার জন্য প্রার্থী ঠিক করা হবে এই এজিএমে। বোর্ডের ইলেক্টোরাল অফিসার ইতিমধ্যেই নোটিশ জারি করেছেন।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এ ছাড়াও ভারতীয় ক্রিকেটের ভবিষ্যতের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হবে এই বৈঠকে। টি-২০ বিশ্বকাপের ব্যর্থতার প্রসঙ্গ উঠতে পারে। ঘরোয়া ক্রিকেটে আরো কী ভাবে উন্নতি সম্ভব তা নিয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রাহুল দ্রাবিড়ের জায়গায় এনসিএ-র ডিরেক্টর পদে কাকে বহাল করা যায়, সেই নিয়েও আলোচনা হবে বলে শোনা যাচ্ছে। ২০২২ মেগা আইপিএলের আয়োজন নিয়ে আলোচনা হবে। এর সঙ্গে শেষ আর্থিক বছরের হিসেব নিকেশ এবং আগামী বছরের বোর্ডের আর্থিক বাজেট পাস হবে।
সাধারণত সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা আয়োজিত হয়ে থাকে। কিন্তু গত বছর থেকে করোনার কারণে বছরের শেষে ডিসেম্বরে হচ্ছে এজিএম। গত বছর যেমন বিসিসআই সচিব জয় শাহের শহর আহমেদাবাদে বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা হয়েছিল। এবার হচ্ছে বোর্ড প্রেসিডেন্টের শহরে।
তবে প্রথমে শোনা গিয়েছিল, বোর্ডের ৯০তম বার্ষিক সাধারণ সভা হবে মুম্বইয়ে। কারণ সেই সময় মুম্বইয়ে ভারত-নিউজিল্যান্ড টেস্ট ম্যাচ চলবে। ফলে বোর্ড কর্তারা এমনিতেই উপস্থিত থাকবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কিছুটা সৌরভের উদ্যোগেই এই বছরের বোর্ডের বার্ষিক সাধারণ সভা কলকাতায় ঠিক করা হয়।