ফাইনালে হারতে হল ভারতকে। সপ্তম বার মহিলাদের এশিয়া কাপ জেতা হল না ভারতের। ফাইনালে হরমনপ্রীত কৌরদের হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হল শ্রীলঙ্কা। এর আগে পাঁচ বার রানার্স হয়েছিল তারা। এই প্রথম শিরোপা জিতল শ্রীলঙ্কা। প্রথমে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করে ভারত। ৮ বল বাকি থাকতে ২ উইকেট হারিয়ে সেই রান তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। ফাইনালে ব্যর্থ ভারতের বোলিং। সঙ্গে ফিল্ডিংও খারাপ হল হরমনপ্রীতদের।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন হরমনপ্রীত। ভারতের ওপেনিং জুটি শুরুটা ভাল করলেও এই ম্যাচে বড় রান করতে পারেনি। বিশেষ করে দ্রুত রান করতে সমস্যা হচ্ছিল শেফালি বর্মার। ১৯ বলে ১৬ রান করে আউট হন তিনি। অর্ধশতরান করেন অপর ওপেনার স্মৃতি মন্ধানা। এই ম্যাচেও ব্যাট হাতে ব্যর্থ হরমনপ্রীত। ১১ রান করে আউট হন তিনি।
শেষ দিকে মন্ধানাকে সঙ্গ দেন জেমাইমা রদ্রিগেস ও রিচা ঘোষ। তিন জন মিলে দলের রান ১৫০ পার করেন। মন্ধানা ৪৭ বলে ৬০ রান করে আউট হন। জেমাইমা ১৬ বলে ২৯ ও রিচা ১৪ বলে ৩০ রান করেন। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রান করে ভারত।
রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি শ্রীলঙ্কার। দ্বিতীয় ওভারেই আউট হন গুনরত্নে। দলের ইনিংস টানেন সেই চামারি আতাপাত্তু। শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক আরও একটি অর্ধশতরানের ইনিংস খেলেন। তাঁকে সঙ্গ দেন হর্ষিতা সমরবিক্রম। দু’জনের মধ্যে ৮৭ রানের জুটি হয়।
এই ম্যাচে ভারতের বোলিং ভাল হয়নি। শ্রীলঙ্কাকে আটকে রাখতে পারেননি তাঁরা। উইকেট পড়ছিল না। রান তোলার গতিও কমছিল না। ক্যাচও ছাড়েন হরমনপ্রীতেরা। ৬১ রান করে আউট হন আতাপাত্তু। তাতে দলের জিততে সমস্যা হয়নি। হর্ষিতা ও কবিশা দিলহারি তৃতীয় উইকেটে ৭৩ রান যোগ করেন। অর্ধশতরান করেন হর্ষিতা। শেষ পর্যন্ত ১৮.৪ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের রান তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। হর্ষিতা ৬৯ ও কবিশা ৩০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ৮ উইকেটে ম্যাচ জেতে শ্রীলঙ্কা।