নিউজিল্যান্ড হোক বা ভারত, প্রতিপক্ষর নাম পাল্টায় কিন্তু ইংল্যান্ডের চতুর্থ ইনিংসে বড় রান তুলে জয়ের ধারার কোনও পরিবর্তন হয় না। বেন স্টোকসের হাতে নতুন ইংল্যান্ডের এটাই মূল শক্তি? টেস্ট ক্রিকেটে চতুর্থ ইনিংসে তিনশো বা তার বেশি রান তাড়া করা যে কোনও মাঠেই কঠিন বলা হয়। কিন্তু ইংল্যান্ড গত চার ম্যাচে দেখাল যে, সেই কাজ কত সহজ।
জো রুটের নেতৃত্বে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে হারের পরেই নেতৃত্বে বদল ঘটায় ইংল্যান্ড। বদলে যায় কোচও। বেন স্টোকস এবং ব্রেন্ডন ম্যাকালামের জুটিতে তৈরি হয় এক আক্রমণাত্মক ইংল্যান্ড। যে দল চতুর্থ ইনিংসে অনায়াসে ৩৭৮ রান তাড়া করে ম্যাচ জেতে।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে তিনটি ম্যাচেই চতুর্থ ইনিংসে বড় রান তাড়া করে জিতেছিল ইংল্যান্ড। প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ড ২৭৭ রান তাড়া করে। পাঁচ উইকেটে জিতেছিলেন স্টোকসরা। সেই ম্যাচে চতুর্থ ইনিংসে শতরান করেন জো রুট। স্টোকস করেছিলেন ৫৪ রান। প্রাক্তন এবং বর্তমান অধিনায়কের যুগলবন্দিতে অনায়াসে ম্যাচ জেতে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় টেস্টে ইংল্যান্ড জেতে ২৯৯ রান তাড়া করে। সেই ইনিংসে শতরান করেন জনি বেয়ারস্টো। ৯২ বলে ১৩৬ রান করেন তিনি। স্টোকস অপরাজিত থাকেন ৭৫ রানে। তাঁদের দাপটে ২৯৯ রানের লক্ষ্যও কম মনে হয়।
তৃতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য লক্ষ্য ছিল ২৯৬ রান। সেই ম্যাচেও চতুর্থ ইনিংসে সহজে ম্যাচ জিতল ইংল্যান্ড। অলি পোপ করেন ৮২ রান। রুট এবং বেয়ারস্টো অপরাজিত থেকে ম্যাচ জেতান। রুট অপরাজিত থাকেন ৮৬ রানে। বেয়ারস্টো ৪৪ বলে ৭১ রান করেন। সাত উইকেটে ম্যাচ জেতে ইংল্যান্ড।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পর পর তিন ম্যাচে কাজটা সহজেই করেছিলেন রুট, বেয়ারস্টোরা। কিন্তু ভারত তাদের সামনে ৩৭৮ রানের লক্ষ্য রাখে। ভারতীয় সমর্থকদের আশা ছিল যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামিদের সামনে সেই কাজ অতটা সহজ হবে না। কিন্তু শুরুতে ইংল্যান্ডের ওপেনিং জুটি এবং পরে রুট-বেয়ারস্টো জুটি দেখাল প্রতিপক্ষ যেই হোক, চতুর্থ ইনিংসে বড় রান তুলে জেতা তাঁদের কাছে কোনও কঠিন ব্যাপার নয়।
১০৯ রানে তিন উইকেট হারানোর পর জুটি গড়েন রুট-বেয়ারস্টো। ভারতের বিরুদ্ধে দু’জনেই শতরান করেন। শামি, বুমরাদের বিরুদ্ধে খেলা কত সহজ, সেটাই এজবাস্টনে দেখালেন দুই ইংরেজ ব্যাটার। বেয়ারস্টো করলেন ১১৪ রান, রুট অপরাজিত ১৪২ রান। জোড়া শতরানে ম্যাচ জিতল ইংল্যান্ড।