এজবাস্টনে প্রথম দিন ব্যাট হাতে ভারতের ঋষভ পন্থ এবং রবীন্দ্র জাডেজার দাপট দেখা গিয়েছিল। দ্বিতীয় দিনে দেখা গেল বল হাতে যশপ্রীত বুমরাদের দাপট। ভারতের থেকে ৩৩২ রানে পিছিয়ে ইংল্যান্ড। ইতিমধ্যেই সাজঘরে জো রুট-সহ পাঁচ ইংরেজ ব্যাটার।
দ্বিতীয় দিনের শুরুটা হয়েছিল জাডেজার শতরান দিয়ে। বিদেশের মাটিতে প্রথম শতরান করলেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় চেয়েছিলেন ভারতের প্রথম ইনিংসে ৩৭৫ রান হোক। জাডেজা সেই কাজটা করে মাঠ ছেড়েছিলেন। সেখান থেকে দলকে ৪১৬ রানে পৌঁছে দিলেন ব্যাটার বুমরা। ১৬ বলে ৩১ রান করেন তিনি। স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে উঠল ৩৫ রান। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ওভারে এটাই সব থেকে বেশি রান। সেই ওভারে ২৯ রান নিয়েছিলেন বুমরা। বাকি ৬ রান অতিরিক্ত দেন ব্রড। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর এক ওভারেই ৩৬ রান নিয়েছিলেন যুবরাজ সিংহ।
ভারতের ৪১৬ রানের বিশাল ইনিংসের উত্তর দিতে নেমে শুরু থেকেই উইকেট হারাতে শুরু করে ইংল্যান্ড। দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বুমরা। ইংল্যান্ডের প্রথম তিন ব্যাটারকে ফিরিয়ে দেন তিনিই। মাত্র ৬ রান করে বোল্ড অ্যালেক্স লিজ। স্লিপে শুভমন গিলের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন অন্য ওপেনার জ্যাক ক্রলি। নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে দুরন্ত ছন্দে থাকা অলি পোপকেও ফিরিয়ে দেন বুমরা। শ্রেয়স আয়ারের হাতে ক্যাচ দিয়ে মাত্র ১০ রান করে মাঠ ছাড়েন ক্রলি।
জো রুট এবং জনি বেয়ারস্টো কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ভারতীয় বোলারদের দাপটে শেষ পর্যন্ত সফল হননি। রুটকে ফিরিয়ে দেন মহম্মদ সিরাজ। পন্থের হাতে ক্যাচ দেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন টেস্ট অধিনায়ক। রাতপ্রহরী হিসাবে নামা জ্যাক লিচ ক্রিজে ছিলেন মাত্র পাঁচ বল। মহম্মদ শামির বলে শূন্য রানেই পন্থের হাতে ক্যাচ দেন লিচ।
বৃষ্টির জন্য শনিবার বার বার ম্যাচ বন্ধ রাখতে হয়। তৃতীয় সেশনে মাত্র এক ঘণ্টা খেলা হয়। সেই সেশনেই পর পর রুট এবং লিচকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচের রাশ নিজেদের হাতে নিয়ে নেয় ভারত। দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন বেয়ারস্টো এবং ইংরেজ অধিনায়ক বেন স্টোকস। ৪৭ বলে ১২ রান করে অপরাজিত বেয়ারস্টো। স্টোকস খেলেছেন মাত্র চার বল। কোনও রান করেননি তিনি। তৃতীয় দিনে তাঁদের থেকে বড় রানের জুটি চাইবে ইংল্যান্ড। যদিও বুমরারা যে ছন্দ দেখিয়েছেন তাতে ইংরেজদের রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। তৃতীয় দিনের শুরুতে ভারতের লক্ষ্য থাকবে যত দ্রুত সম্ভব ইংল্যান্ডের বাকি পাঁচ উইকেট নেওয়া। ৮৪ রানে পাঁচ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডের ফলো-অন বাঁচাতে প্রয়োজন আরও ১৩২ রান।