বুধবার আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ভারতীয় ফুটবল দল বাহরিনের বিরুদ্ধে খেলতে নেমেছিল। এদিনের ম্যাচে বাহরিনের কাছে ১-২ ব্যবধানে পরাজিত হয় ভারতীয় ফুটবল দল। এদিনের ম্যাচে বাহরিনের মিড-ফিল্ডার মহম্মদ আল-হারদান খেলার উদ্বোধনী গোলটি করেন। আল মুহাররাক স্টেডিয়ামে ৩৮ মিনিটে গোলটি করেন তিনি। ৫৯ মিনিটে গোল করে সমতা ফেরান রাহুল বেকে। গোল করে নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বেকে।
এরপর বেশ কিছুক্ষণ আর গোল হয়নি। লড়াই চালাচ্ছিল ভারতীয় দল। সেই সময় মনে হচ্ছিল ড্র করে মাঠ ছাড়তে পারবেন গুরপ্রীত সিংহ সান্ধুরা। কিন্তু ম্যাচের ৮৮ মিনিটে গোল হজম করে ম্যাচ হারে প্রণয় হালদার, প্রীতম কোটাল, শুভাশিস বসুরা। বাহরিনের পক্ষে জয়সূচক গোল করেন মাহদি আল-হুমাইদান।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে নওরেম রোশন সিংকে মাঠে নামান ভারতীয় দলের প্রধান কোচ ইগর স্টিমাচ। তার সিদ্ধান্তটি ঠিক প্রমাণিত হয়েছিল, কারণ নওরেমের সহায়তায় ভারত সমতায় ফেরে। যদিও ভারতের আনন্দ ক্ষণস্থায়ী ছিল। কারণ মাহদি হুমাইদান ম্যাচের ৮৮ মিনিটে বাহরিনের হয়ে শেষ গোলটি করেন। ফুটবল ভক্তরা অনেকেই স্টিমাচের ফুটবল দর্শনকে নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।
৯১তম র্যাঙ্কযুক্ত বাহরিনের বিরুদ্ধে স্টিমাচের ছেলেরা দারুণ লড়াই দিয়েছিল। বর্তমানে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ১০৪-এ রয়েছে ভারত। যদি অধিনায়ক গুরপ্রীত সিং সান্ধু স্পট থেকে না বাঁচাতেন তাহলে ভারতীয় দল হাফ টাইমে বড় ব্যবধানে পিছিয়ে যেত। তবে এই হার থেকে শিক্ষা নিতে চায় ভারত।
এই হারের জন্য ভিসা সমস্যাকে দায়ী করা যেতে পারে না। কারণ মঙ্গলবার সকালে ভিসা না পাওয়ার জন্য সাতজন ফুটবলার অপেক্ষা করছেন বিমানবন্দরে। পরে ফেডারেশন কর্তারা নানাভাবে চেষ্টা করে বিকেল চারটের বিমানে তাদের বাহরিনে রওনা করেন। ফলে বুধবার বাহরিনের বিরুদ্ধে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে চোটের জন্য না যাওয়া সুনীল ছেত্রী বাদে সকলকেই পেয়েছিলেন ভারতের কোচ ইগর স্টিমাচ।