রবিবাসরীয় পুনের এমসিএ স্টেডিয়ামে স্যাম কারেনের লড়াই ব্যর্থ করে নির্ণায়ক ম্যাচটি জিতে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ওয়ান-ডে সিরিজে কব্জা করেছে টিম ইন্ডিয়া। আর এই ফলাফলের পর ভারত সফরের শেষে কার্যত খালি হাতেই ফিরতে হচ্ছে থ্রি-লায়ন্সদের। কারণ টেস্ট, টি-২০’র পর ওয়ান-ডে সিরিজেও পরাজিত হয়ে ভারত সফরে ক্লিন সুইপ ইংল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার মাটিতে টেস্ট সিরিজে ২-০ ব্যবধানে জিতেই ভারতের মাটিতে পা রেখেছিলেন রুটরা।
অর্থাৎ, উপমহাদেশের মাটিতে ভালোরকম প্রস্তুতি নিয়ে ভারত সফরে এসেও থ্রি-লায়ন্সদের ল্যাজে-গোবরে হতে হল টেস্ট সিরিজ সহ টি-২০ এবং ওয়ান-ডে’তে। আর সব দেখেশুনে প্রাক্তন ইংরেজ অধিনায়ক তথা ধারাভাষ্যকার নাসের হুসেনের উপলব্ধি, ভারত সফর অত্যন্তই কঠিন। তবে তাঁর কথায় ইংল্যান্ড ভারত সফরে এসে প্রত্যাশিত ফলাফল না পেলেও সিরিজ যথেষ্ট আকর্ষণীয় হয়েছে এবং এই সিরিজ অনুরাগীদের টেলিভিশনের সঙ্গে আঠার মতো সেঁটে রেখেছিল। একইসঙ্গে ভারত সফর থেকে ভবিষ্যতের জন্য প্রচুর রসদ ইংল্যান্ড ক্রিকেটাররা সংগ্রহ করবেন বলেই মত নাসেরের।
স্কাই স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নাসের হুসেন বলেছেন, ‘ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ চলাকালীন আমি পুরোপুরি টিভির সঙ্গে সেঁটে ছিলাম। শ্রীলঙ্কা সফরে টেস্ট সিরিজ জয় দুর্দান্ত ছিল। সঙ্গে রুটের ব্যাটিং, ব্রড-অ্যান্ডারসনের বোলিং। এরপর ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে একটাও বাজে দিন যায়নি, না তো টি২০ সিরিজে। সবশেষে ৫০ ওভারের সিরিজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দুর্দান্ত ছিল। আমি জানি ফলাফল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গিয়েছে কিন্তু যদি ভেবে দেখা যায় তাহলে ভারত সফর সাংঘাতিক কঠিন একটা সফর। আমি আশা রাখব ইংল্যান্ড ক্রিকেটাররা এই সফর থেকে কিছু শিখে ফিরবে ভবিষ্যতের জন্য।’
উল্লেখ্য, ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে ইংল্যান্ডকে পই-পই করে সতর্ক করেছিলেন প্রাক্তন ইংরেজ স্পিনার গ্রেম সোয়ান। ভারতের মাটিতে ভারতের বিরুদ্ধে ২০১২-১৩ টেস্ট সিরিজ জয়ে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা ছিল যাঁর। সোয়ান বলেছিলেন, রুটরা যদি কোহলিদের তাঁদের দেশের মাটিতে পরাস্ত করতে পারে তাহলে রুটরা অ্যাশেজ জয়ের চেয়েও বড় কিছু জয়ের কৃতিত্ব অর্জন করবে।
টিম ইন্ডিয়া অস্ট্রেলিয়াকে তাদের মাটিতে হারানোর পর প্রাক্তন ইংলিশ স্পিনার ইংরেজ ব্যাটসম্যানদের পরামর্শ দিয়েছিলেন তারা যেন কেভিন পিটারসনের থেকে স্পিনের বিরুদ্ধে খেলার কৌশল রপ্ত করে যায়। উল্লেখ্য, অক্ষর প্যাটেল-রবিচন্দ্রন অশ্বিনের স্পিন জুটির সামনে টেস্ট সিরিজে নাকানি-চোবানি খেতে হয়েছিল ব্রিটিশদের।