টেস্টই সত্যিকারের ক্রিকেট। যা যে কোনও ক্রিকেটারের প্রকৃত চরিত্রের বর্ণনা দেয়। এমনই মনে করছেন বিরাট কোহলি। তাঁর মতে, ‘টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কারণ (যে কোনও ক্রিকেটারের কাছে) এই দুনিয়াটার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।’
মোহালিতে ১০০ তম টেস্টে আগে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) সাক্ষাৎকারে বিরাট বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে আমি কখনও ভাবিনি যে আমি ১০০ টেস্ট খেলব। এটা একটা লম্বা যাত্রা ছিল। এই ১০০ টেস্টের মধ্যে প্রচুর ক্রিকেট খেলেছি। প্রচুর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছি। আমি কৃতজ্ঞ যে ১০০ টেস্ট খেলার সুযোগ পাচ্ছি। ঈশ্বরের আশীর্বাদ আছে। ফিটনেস নিয়ে আমি প্রচুর খেটেছি। এটা আমি, আমার পরিবার এবং আমার কোচের কাছে বড় একটা মুহূর্ত। কোচের কাছে এটা অত্যন্ত আনন্দ এবং গর্বের মুহূর্ত। এটা খুবই বিশেষ মুহূর্ত।’
বিরাট জানান, কীভাবে তাঁর মধ্যে টেস্ট ম্যাচ খেলার বীজ বপন হয়েছিল। তাঁর কথায়, ‘আমি যখন বড় হয়েছি, তখন কখনও ভাবিনি যে আমি ছোটো রান করব। বড়সড় রান করার লক্ষ্য থাকত। জুনিয়র ক্রিকেটে একাধিক বড়সড় দ্বি-শতরান করেছি। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পৌঁছানোর আগে সাতটি-আটটি বড় দ্বি-শতরান হাঁকিয়েছি। তাই আমার কাছে বিষয়টা সোজা ছিল, যতক্ষণ ব্যাট করা যায়, ততক্ষণ ব্যাট করব। দীর্ঘক্ষণ ব্যাট করে যাওয়াই আমার লক্ষ্য ছিল। একাধিক সেশনে ব্যাট করে যাওয়া, দলকে জেতানো, প্রথম ইনিংসে লিড নিয়ে তিন পয়েন্ট পাওয়ার মতো লক্ষ্য থাকত।’
সেই বিষয়গুলিই একজন ক্রিকেটারের চারিত্রিক দৃঢ়তার প্রমাণ দেয় বলে জানান বিরাট। ভারতের টেস্ট ক্রিকেটারের ইতিহাসে সবথেকে অধিনায়কের বক্তব্য, ‘এই বিষয়গুলি আপনার পরীক্ষা নেয়। আপনার কতটা ভালো খেলোয়াড়, তা সামনে আনে। আপনার প্রকৃত চরিত্র সামনে নিয়ে আসে টেস্ট ম্যাচ। আমি সেটা পুরোপুরি উপভোগ করি। আমার মতে, টেস্ট ক্রিকেটকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কারণ এই দুনিয়াটার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। কারণ আমার মতে, এটাই সত্যিকারের ক্রিকেট।’