ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকার তৃতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষের বেলায় কেপ টাউনের ময়দান কড়া টক্করের পাশাপাশি বিতর্কেরও সাক্ষী হয়ে থাকে। আপাত দৃষ্টিতে ডিন এলগার একেবারে স্পষ্ট আউট মনে হলেও, রিভিউয়ে সেই সিদ্ধান্ত বদলে যায়। এরপরেই মাঠে ক্ষোভে ফেটে পড়ে ভারতীয় দল। প্রোটিয়া তারকা লুঙ্গি এনগিদি মনে করছেন টিম ইন্ডিয়ার এই বিরক্তি ও হতাশাকে তারা যে চাপে রয়েছে, তারই বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
রিভিউয়ে অত্যন্ত বিতর্কিতভাবে এলগার নট আউট হওয়ার পরেই কোহলির ডেপুটি রাহুলকে ব্রডকাস্টারদের উদ্দেশ্যে তোপ দেগে বলতে শোনা যায়, ‘১১ জনের বিরুদ্ধে গোটা দেশের খেলা হচ্ছে।’ বোলার অশ্বিনও রাখঢাক না করে ব্রডকাস্টারদের নাম করেই জানিয়ে দেন, ‘এর থেকে ভাল পদ্ধতিতে তোমাদের জয়ের চেষ্টা করা উচিত ছিল।’ আর কোহলি তো নাগাড়ে স্টাম্প মাইকের কাছে এসে নিজের গোটা ক্ষোভটাই উগড়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। তবে ভারতীয় দলের বিক্ষোভ সত্ত্বেও প্রোটিয়ারা যে ডিআরএসের ওপর ভরসা করে, তা স্পষ্ট করে দেন এনগিদি। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এরপরেই গোটা বিষয়টি নিয়ে ভারতীয় দলের প্রতিক্রিয়ার ব্যাপারে মন্তব্য করতে গিয়ে প্রোটিয়া ফাস্ট বোলার জানান, ‘এমন প্রতিক্রিয়া স্পষ্টভাবেই ভারতীয় দল যে কতটা চাপে রয়েছে, তা বুঝিয়ে দেয়। ওরা পার্টনারশিপটা (এলগার-পিটারসেনের) ভাঙতে মরিয়া ছিল এবং তা সাফ বোঝা যায়। সবাই ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখালেও আমার মনে হয় মাঠের মধ্যে খুব বেশি আবেগ দেখানো একেবারেই উচিত নয়। প্রতিপক্ষ দল তো তার লাভ তোলার চেষ্টা করবেই। তবে স্পষ্টতই ভারতীয় দল কতটা আবেগপ্রবণ, তা আমরা সকলেই দেখতে পেয়েছি।’
তৃতীয় দিনের খেলা শেষে প্রোটিয়া দলের ম্যাচ জিততে আর ১১১ রান চাই, হাতে রয়েছে আটটি উইকেট। তবে ভাল প্রোটিয়া দল জায়গায় থাকলেও, দুই দলেরই এখনো ম্যাচ জয়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলেই মত এনগিদির। ‘আমার মতে এখনও দুই দলই ম্যাচ জিততে পারে। আমরা যদি সকালে ৬০ রানের পার্টনারশিপ গড়তে পারি, তাহলে সেটা আমাদের ভাল জায়গায় পৌঁছে দেবে। অপরদিকে, ওরা দ্রুত উইকেট নিলে ম্যাচে ওরা এগিয়ে যাবে। তাই ম্যাচ বর্তমানে একেবারে দারুণ জায়গায়। (চতুর্থ দিনের) সকালের সেশনটা খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।’ মত এনগিদির।