দুজনেই কেমন গুজগুজ ফুসফুস করে চলেছিলেন। মাঝে মাঝেই অট্টহাস্যে ফেটে পড়ছিলেন দুজনে। একদিকে অন্যরা বোরিং ড্রিল করছে, অন্যদিকে নিজেদের মতো ব্যস্ত ছিলেন ডিকে ও পন্ত। শুক্রবার গুয়াহাটির প্র্যাকটিসে এমন চিত্রই ধরা পড়ল। অন্যরা শুধু প্র্যাকটিস করলেও ডিকে ও পন্তের মধ্যে দেখা গেল অসমবয়সী নিবিড় বন্ধুত্ব। সারা দুনিয়া যেখানে ডিকে বনাম পন্ত নিয়ে তরজায় ব্যস্ত, এই দুই তারকা যেন অবিচ্ছেদ্য বন্ধু।
একে অপেরের থেকে শিখছেন দুজনে। ভুল শুধরে দিচ্ছেন প্রয়োজনে। শুধু হাসি-ঠাট্টার ব্রোমান্স নয়, ক্রিকেটীয় বিষয় নিয়ে রীতিমত গুরুগম্ভীর আলোচনা করলেন ভারতীয় দলের এই দুই তারকা। শুক্রবার দলের অপশনাল প্র্যাক্টিস ছিল। প্রথম একাদশের অধিকাংশ প্লেয়ারই এদিন গা ঘামাতে আসেননি। ব্যতিক্রম ছিলেন দীনেশ কার্তিক, ঋষভ পন্ত ও অক্ষর প্যাটেল। তাদের সঙ্গে অনুশীলনে আসেন শ্রেয়স আইয়ার, উমেশ যাদব, সিরাজ ও বাংলার শাহবাজ।
তিনটি নেটে পাশাপাশি ব্যাট করেন ডিকে, পন্ত ও আইয়ার। কার্তিক থ্রো ডাউন নেন, অন্যদিকে পন্তের বিরুদ্ধে বল করেন উমেশ, শাহবাজ ও নেট বোলাররা। এরপর আবার সুইচ করেন তারা। দুই ক্রিকেটারকেই বেগ দেন উমেশ যাদব। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে এই অনুশীলন। এর মধ্যেই পন্তের ব্যাটিংয়ের মাঝেই কিছু টিপস দেন কার্তিক। বাধ্য ছাত্রের মতন তখন তা শুনছিলেন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ায় রানের পাহাড় গড়া ঋষভ পন্ত। নেটে প্রায় ১০-১২ মিনিট ধরে রীতিমত ক্লাস চলে প্রফেসর ডিকে-র। তারপর গরমে বেহাল কার্তিক ছায়ায় চলে যান। আরো কিছুক্ষণ ব্যাটিং চলে পন্তের। যেভাবে পেসারদের বলগুলিকে ঠুকছিলেন পন্ত, সেটা পছন্দ হয়নি ডিকে-র। সেটি নিয়েই তিনি টিপস দিচ্ছিলেন।
নিয়তির ফেরে এটা প্রায় নিশ্চিত যে দুজনে একসঙ্গে সুযোগ পাবেন না বিশ্বকাপের অধিকাংশ ম্যাচে। খুব সম্ভবত ডিকে যেভাবে ফিনিশারের ভূমিকায় খেলছেন, তাঁর দিকেই পাল্লা ভারি। কিন্তু সম্পর্কের সমীকরণে প্রভাব ফেলেনি সেই জটিল কাটাকুটির খেলা। ক্রিকেটপিপাসু পন্ত তাই চেটেপুটে নিচ্ছেন বড়ে ভাইয়া ডিকে-র দেওয়া পরামর্শ। এই অমলিন বন্ধুত্বকে কুর্নিশ।