মাত্র ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে সম্পূর্ণ ভিন্নরকম পারফরম্যান্স। রবিবার (১২ জুন) যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে নাকানি চোবানি খেয়েছিল ভারতীয় দল, সেখানে মঙ্গলবার দাপুটে পারফরম্যান্সে ৪৮ রানে জিতল টিম ইন্ডিয়া। দলের জয়ে সবচেয়ে বড় ভূমিকা নিলেন তারকা স্পিনার যুজবেন্দ্র চাহাল।
গত ম্যাচে ক্লাসেন ঝড়ে উড়ে গিয়েছিলেন চাহাল। নির্ধারিত চার ওভারে দিয়েছিলেন ৪৯ রান। সেখানে বিশাখাপত্তনমে চার ওভারে ২০ রান দিয়ে ক্লাসেনসহ মোট তিন উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন চাহালই। গত ম্যাচের পর নিজের ভুল শুধরে নিয়েই এই সাফল্য এসেছে বলে জানান যুজি। ম্যাচ শেষে তিনি বলেন, ‘আমি গত ম্যাচে অতিরিক্ত পরিমাণে দ্রুত গতির স্লাইডার বল করছিলাম। তারপরে পরশ (মামরে, বোলিং কোচ) স্যার এবং বাকি কোচেদের সঙ্গে সেই নিয়ে কথাবার্তা বলি। এই ম্যাচে আমি লেগ স্পিনটা করার ওপরই বেশি জোর দিই এবং বলের সিম পজিশনটাও ভিন্ন ছিল। আমি বল স্পিন এং ডিপ করাতে চাই। গত ম্যাচে সেটাই করতে পারছিলাম না এবং ওরা আমার বল মারতেও সক্ষম হয়। আজ লাইন বদল করে স্পিন করানোর চেষ্টা করি, যা আমার মজবুত পক্ষ।’
রাজকোটে ফর্মে থাকা ক্লাসেন, রাসি ভ্যান ডার দাসেনের দুই বড় উইকেট নেন চাহাল। মিডল অর্ডার ব্যাটাররা অল্প রানে আউট হয়ে যাওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকার উপরেই বেশি চাপ পড়ে গিয়েছিল বলে মনে করছেন চাহাল। ‘মিডল ওভারে প্রতিপক্ষের মিডল অর্ডার ব্যাটারদের আউট করতে পারলে সবসময়ই চাপটা বাড়ে। ব্যাটাররা আজকাল সুইপ, রিভার্স সুইপ অনেক খেলে। সেইসব মাথায় রেখেই বোলারদের পরিকল্পনা সাজাতে হয়। গত ম্যাচেও সত্যি বলতে উইকেটে স্পিনারদের জন্য মদত ছিল। তবে আমি ভাল বল করতে পারিনি। এই ম্যাচে ভাগ্য ফিরেছে। ভাগ্য ভাল যে রাজকোটের (চতুর্থ ম্যাচের ভেন্যু) মাঠটা বেশ বড়।’ তৃতীয় টি-টোয়ন্টি জিতে সিরিজে কামব্য়াক করেছে ভারত। পরের লক্ষ্য শুক্রবার (১৭ জুন) রাজকোটে জিতে সিরিজে সমতা ফেরানো।