ভাগ্যিস সূর্য কুমার যাদব ছিলেন। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের সেরা ব্যাটার রুখে না দাঁড়ালে একরাশ লজ্জা ‘উপহার’ দিত টিম ইন্ডিয়া। তবে সেটা হতে দিলেন না ‘স্কাই’। মারকাটারি মেজাজে নয়। বরং শান্ত ভঙ্গিমায় ১৯.৫ ওভারে চার মেরে দলজকে জেতালেন সূর্য। বাইশ গজে তাঁর সঙ্গী ছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। ফলে ৪ উইকেটে ১০১ রান তুলে সিরিজে সমতা ফেরাল ভারত। সূর্য ৩১ বলে ২৬ ও হার্দিক ২০ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
মাত্র ১০০ রান চেজ করতে গিয়ে একেবারে ল্যাজেগোবরে অবস্থা! হ্যাঁ ভারতীয় ব্যাটিংয়ের কথা লিখছি। দুই ওপেনার শুভমন গিল ও ঈশান কিশান ফের একবার ভালো শুরু করেও, বিপক্ষকে চাপে রাখতে পারলেন না। শুভমন (১১) মিচেল ব্রেসওয়েলের বলে। আর খারাপ ফর্মের মধ্য দিয়ে চলতে থাকা ঈশান তো রান আউট হয়ে উইকেট দিয়ে এলেন। ভারত তখন ৪৬ রানে ২।
পৃথ্বী শাহ-কে এবারও সুযোগ দেওয়া হল না। তবে রাহুল ত্রিপাঠি (১৩) সুযোগ পেলেও, ফের একবার সেই সুযোগ হেলায় হারালেন। রাহুল যখন ফিরে যান, তখন ভারতের স্কোর ৫০ রানে ৩ উইকেট। এরপর ডাগ আউটের দিকে হাঁটা লাগালেন গত ম্যাচে অর্ধ শতরান করা ওয়াসিংটন সুন্দর। তবে শেষ পর্যন্ত কিউইরা আর পারেনি। কারণ তাঁদের ঝুলিতে যে রান বড্ড কম ছিল। তাই সূর্য ও হার্দিক ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়লেন।
লখনউয়ের পিচে প্রথম থেকেই দারুণ বোলিং করেছিল ভারতীয়রা। চতুর্থ ওভারেই ফিন অ্যালেনকে ফিরিয়ে দেন দলে ফেরা যুজবেন্দ্র চাহাল। ভারতের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি উইকেট পাওয়ার নজির গড়লেন তিনি। টপকে গেলেন ভুবনেশ্বর কুমারকে। এরপর নিউজিল্যান্ডের কোনও ব্যাটারই দাঁড়াতে পারেননি। একের পর এক ব্যাটার এসেছেন এবং সাজঘরে ফিরেছেন। সর্বোচ্চ রান করেন অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। ২৩ বলে ১৯ রান করেছেন তিনি। ৭ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন অর্শদীপ সিং। একটি করে উইকেট হার্দিক, ওয়াশিংটন সুন্দর, চাহাল, দীপক হুডা এবং কুলদীপ যাদব। আর ভারতীয় বোলারদের এমন পারফরম্যান্সই দলকে সিরিজে বাঁচিয়ে রাখল। ফের ব্যটিং ব্যর্থতার পরেও সিরিজে সমতা ফেরাল টিম ইন্ডিয়া। ১ ফেব্রুয়ারি আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুই দল।