সিএবি থেকে বিসিসিআই (BCCI) হয়ে এবার কি আইসিসির চেয়ারম্যান হওয়ার পথে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়? ক্রিকেট মহলে কিন্তু ইতিমধ্যেই গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে। আপাতত বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের মাথায় ঝুলছে ‘কুলিং অফ’ পিরিয়ডের খাড়া। সুপ্রিম কোর্টে যদি সুবিধা না হয়, তাহলে এই জুলাইয়েই বিসিসিআই প্রেসিডেন্টের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হবে সৌরভকে। কাকতালীয়ভাবে ওই সময়ই শেষ হচ্ছে আইসিসির (International Cricket Council) চেয়ারম্যান শশাঙ্ক মনোহরের কার্যকাল। সম্ভবত তিনি আর আইসিসির ওই পদের জন্য লড়বেন না। অনেকেই দুইয়ে দুইয়ে চার করে ধরে নিচ্ছেন, ভারতীয় বোর্ড থেকে কুলিং অফে যেতে হলে আইসিসির নির্বাচনে লড়তে পারেন সৌরভ।
লকডাউনের অনেক আগে শীর্ষ আদালতকে বিসিসিআই জানিয়েছিল, কুলিং অফ ব্যাপারটি যেন নতুন করে বিবেচনা করা হয়। ‘কুলিং অফ’ তুলে দিয়ে সৌরভদের কার্যকাল লম্বা করা হোক। এটা না করলে ভারতীয় ক্রিকেটর প্রশাসনিক কাঠামো ভেঙ্গে পড়বে। ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের আরজি শোনার সুযোগ এতদিন হয়নি শীর্ষ আদালতের। সুতরাং সৌরভদের ৩ বছর কুলিং অফে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে। নাম জানাতে অনিচ্ছুক বিসিসিআইয়ের এক আধিকারিক জানিয়েছেন,”আদালত কুলিং অফ নিয়ে এখনও শুনানি করেনি। যদি আদালতে সুবিধা না হয় তাহলে সৌরভ আইসিসি (ICC) নিয়ে ভাবতেও পারেন।”
তাছাড়া করোনার জেরে বিশ্ব ক্রিকেটে এখন ত্রাহি ত্রাহি রব। অর্থাভাবে ভুগতে হচ্ছে সব দেশের ক্রিকেট বোর্ডকেই। এই পরিস্থিতিতে সৌরভের মতো নেতারই প্রয়োজন বলে মনে করছেন গ্রেম স্মিথের মতো প্রাক্তনীরা। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক তথা ডিরেক্টর অফ ক্রিকেট স্মিথ বলেছেন,”করোনার পর আইসিসির চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য সৌরভই সেরা। আমি ওকে ব্যক্তিগতভাবে চিনি। এই পরিস্থিতিতে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতা ওঁর আছে।” উল্লেখ্য, এবছর আইসিসি চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে সবার শীর্ষে আছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান কলিন গ্রেভস। তবে সৌরভ লড়াইয়ে নামলে তিনি যে পিছিয়ে পড়বেন, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। উল্লেখ্য, আইসিসি বোর্ডের মোট সদস্য ১৭ জন। ১২টি টেস্ট খেলিয়ে দেশ, ৩টি অ্যাসসিয়েট দেশ, একজন স্বাধীন মহিলা ডিরেক্টর এবং বিদায়ী চেয়ারম্যানের ভোটাধিকার আছে। বিসিসিআই চাইলে এই ১৭ জন ভোটারের মধ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পাওয়াটা কোনও সমস্যার বিষয় হওয়ার কথা নয়।