সচরাচর দেশের হয়ে অভিষেক ম্যাচে নজর কাড়লে উজ্জ্বল আন্তর্জাতিক কেরিয়ারের স্বপ্ন দেখেন যে কোনও ক্রিকেটারই। তবে ওলি রবিনসনের ক্ষেত্রে বিষয়টা ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। ব্রিটিশ পেসার নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে চমকপ্রদ টেস্ট অভিষেকের পরেই ধরে নিয়েছিলেন যে, তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ার বোধহয় শুরুতেই শেষ হয়ে গেল।
আসলে অতীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় বৈষম্যমূলক পোস্ট করার দায়ে রবিনসনকে অভিষেক টেস্টের পরেই তড়িঘড়ি অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য নির্বাসিত করে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। কতটা গুরুতর শাস্তি পেতে চলেছেন, এটা না জানা পর্যন্ত রবিনসনের মনে ঘোর আশঙ্কা দানা বাঁধে। যদিও খুব বেশিদিন মাঠ থেকে দূরে থাকতে হয়নি তাঁকে। নির্বাসনের মেয়াদ শেষ করে এবং জরিমানা গোনার পরে তিনি ফিরে আসেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের মূল স্রোতে।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অভিষেক টেস্টের দুই ইনিংসে যথাক্রমে ৪টি ও ৩টি উইকেট নিয়েছিলেন রবিনসন। এবার নটিংহ্যামে ভারতের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টেস্টে মাঠে ফিরেই তুলে নিলেন পাঁচ উইকেট। কেরিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নেমেই ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখানো রবিনসন অকপটে জানালেন নিজের আশঙ্কার কথা। স্বীকার করে নিলেন, সত্যিই ভয় পেয়েছিলেন তিনি।
দিনের শেষে রবিনসন বলেন, ‘একটা সময় আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছিলাম। মনে হয়েছিল যে, আমাকে দু’বছরের জন্য নির্বাসিত করা হতে পারে এবং তাহলে আমি আর কখনও ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে পারব না। বছর দু’য়েক পরে আমার বয়স ৩০ হয়ে যাবে এবং সেই সময় অন্য কেউ এসে আমার জায়গা দখল করে নেবে। সুতরাং, একটা সময় নিজের কেরিয়ার নিয়েই সংশয়ে ছিলাম। সৌভাগ্যের বিষয় যে, এখন সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে গিয়েছে।’