‘মুখ খুলে বিপদে পড়তে চাই না’, ভারতীয় ফুটবল নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই মুখে কুলুপ অধিনায়ক সুনীলের

ভারতীয় ফুটবল নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না সুনীল ছেত্রী। ভারতের ফুটবল অধিনায়ক জানিয়েছেন, বিপদে পড়তে চাইছেন না তিনি। সুনীলের কথা থেকে পরিষ্কার, ভারতীয় ফুটবল এখন কী পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তার সব থেকে বড় কারণ, দেশ বনাম ক্লাব দ্বন্দ্ব। এই দ্বন্দ্বে ঢুকতে চাইছেন না সুনীলের মতো ফুটবলারও।

এশিয়ান গেমসে চিনের কাছে হারের ধাক্কা ভুলে বাংলাদেশকে হারিয়েছে ভারত। ৮৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ম্যাচের একমাত্র গোল করেছেন সুনীল। ম্যাচ শেষে ধারাভাষ্যকারেরা সুনীলকে প্রশ্ন করেন, ভারতের প্রস্তুতি কেমন হয়েছে? জবাবে সুনীল বলেন, ‘‘সবাই সেটা জানে। এই নিয়ে মুখ খুলে আর বিপদে পড়তে চাই না। খালি একটা কথাই বলতে পারি। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ৩ পয়েন্ট পেয়েছি। সেটাই আসল।’’

ম্যাচ জিতলেও তাঁরা ভাল খেলতে পারেননি বলে জানিয়েছেন সুনীল। ভারত অধিনায়কের কথায়, ‘‘আমরা নিজেদের সেরা খেলাটা খেলতে পারিনি। এখনও অনেক উন্নতি করতে হবে। তবে খেলায় জেতা আসল। পয়েন্ট পাওয়া আসল। সেটা হয়েছে। পরের ম্যাচে ভাল খেলতে হবে।’’

ভারতীয় ফুটবলের এই অবস্থার জন্য খানিকটা হলেও দায়ী সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন। এশিয়ান গেমসে ফুটবলার ছাড়ার জন্য ক্লাবগুলিকে রাজি করাতে ব্যর্থ ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে ও সচিব শাজি প্রভাকরণ। তাঁদের অনুরোধ শোনেনি ক্লাব। ২১ সেপ্টেম্বর থেকে আইএসএল শুরু হওয়ায় দেশের জন্য ফুটবলার ছাড়তে রাজি হয়নি বেশির ভাগ ক্লাব।

নিজের ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ্যে উগরে দিয়েছেন ভারতীয় ফুটবল কোচ ইগর স্তিমাচ। প্রস্তুতির অভাব নিয়ে মোটেই খুশি নন তিনি। স্তিমাচের কথায়, “শুরু থেকে প্রস্তুতি শিবিরের দাবি করে আসছিলাম। সেখান থেকে ম্যাচের আগে অবশেষে সব ফুটবলারকে পেয়েছি। এতেই আমাদের খুশি হওয়া উচিত তাই না? জাতীয় দলের প্রতি বৈষম্যমূলক আচরণ করা হচ্ছে। আমি তো দলের জন্যেই সব চেয়েছিলাম। নিজের জন্যে নয়।”

যে দল দেওয়া হয়েছে তাতে যে ভাল কিছু করা সম্ভব নয় তা স্তিমাচের কথাতেই পরিষ্কার। দলের একাধিক পজিশনে সঠিক ফুটবলারের অভাব রয়েছে বলে তিনি মনে করেন। স্তিমাচ বলেছেন, “হয়তো গ্রুপ থেকে পরের পর্বে যাব। কিন্তু ভাগ্যের সাহায্য দরকার। ছেলেদের সেরা ফুটবলটা খেলতে হবে। খেলোয়াড়দের মান কী রকম সেটার থেকেও বড় কথা, কত তাড়াতাড়ি ওরা কোচের দর্শনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারছে তার উপরেও অনেক কিছু নির্ভর করছে।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.