ভারতীয় দলের এককালের সেরা অলরাউন্ডারের তকমা পেয়েছিলেন তিনি। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দুর্দান্ত পারফর্ম করার পুরস্কার হিসেবে তাঁর হাতে ওঠে টুর্নামেন্ট সেরার ট্রফি। বহু ম্যাচে মারকাটারি ব্যাট করে টিম ইন্ডিয়াকে জিতিয়েছেন। অথচ সেই তারকারই কেরিয়ারের হ্যাপি এন্ডিং হল না। সে নিয়ে আজও আক্ষেপ রয়ে গিয়েছে। তাই অবসরের পরও ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (BCCI) উপর ক্ষোভ উগরে দিলেন যুবরাজ সিং।
গত বছর জুনে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন যুবি (Yuvraj Singh)। যদিও তার অনেক আগেই জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। যুবরাজের মতে, দলকে নিজের সেরাটা উজার করে দেওয়ার পরও কেরিয়ারের শেষে এসে প্রাপ্য সম্মানটা পেলেন না। পাঞ্জাব দা পুত্তর বলছেন, “কেরিয়ারের শেষে চূড়ান্ত অপেশাদারিত্বের মুখে পড়তে হয়েছে। আর শুধু আমিই না। হরভজন সিং, বীরেন্দ্র শেহওয়াগ, জাহির খানের মতো তারকা ক্রিকেটারদের দিকে তাকান। খুব খারাপভাবে সবকিছু শেষ হয়েছিল। এটা ভারতীয় ক্রিকেটের অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই আমার সঙ্গে এমনটা হওয়ায় অবাক হইনি। তবে একটা জিনিসই চাইব। ভবিষ্যতে যেন এই ছবিটা পালটায়। কেউ দেশের হয়ে দীর্ঘদিন খেললে তাঁকে যেন প্রাপ্য সম্মানটা দেওয়া হয়।”
কেরিয়ারের মাঝপথেই মারণ ক্যানসার থাবা বসিয়েছিল যুবরাজের শরীরে। সেই কঠিন রোগ জয় করার পরও জাতীয় দলে জায়গা করে নিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছিলেন তিনি। কামব্যাকও করেছিলেন। তবে তাঁর জায়গা তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। খানিকটা হতাশ হয়েই শেষমেশ ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর সিদ্ধান্তটা নিয়ে ফেলেন। সেই যুবি চান, প্রত্যেককে যেন যোগ্য সম্মানটুকু দেওয়া হয়। বলছেন, “গৌতম গম্ভীরের মতো তারকা আমাদের বিশ্বকাপ জিতিয়েছে। সুনীল গাভাসকরের পর টেস্টে ভারতীয় দলকে বহু ম্যাচ জিতিয়েছেন শেহওয়াগ। তালিকায় রয়েছেন ভিভিএস লক্ষ্মণ, জাহিরও। এঁদের অন্তত সম্মান দেওয়া উচিত।”
এককথায়, যুবরাজ বুঝিয়ে দিতে চাইলেন, বহু বছর ধরে বিসিসিআই এমনটাই করে আসছে। ‘কাজ ফুরলেই পাজি’ হয়ে যান সেই ক্রিকেটার। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের জমানায় ছবিটা পালটায় কি না, সেটাই দেখার।