আইপিএলে সাত ম্যাচে পাঁচ হার। আর একটি ম্যাচ হারলেই আইপিএলে কার্যত বিদায়ঘণ্টা বেজে যাবে। এই অবস্থায় কাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখবে কেকেআর? সাতটি ম্যাচে একাধিক বদল করা হয়েছে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। দল পড়ে রয়েছে আট নম্বরে। বুধবার বিরাট কোহলির আরসিবির বিরুদ্ধে কি দলে আবার কোনও বদল দেখা যেতে পারে?
পরিস্থিতি যা, তাতে বদল করতেই পারেন অধিনায়ক নীতীশ রানা? বিশেষত ওপেনিং জুটি যেখানে খাটছেই না, সেখানে লিটন দাসকে বসিয়ে রাখার কোনও অর্থ হয় না। একটা ম্যাচের ভিত্তিতে তাঁকে বিচার করলে মূর্খামি হবে। কারণ লিটন কেকেআরে আসার আগে ছন্দেই ছিলেন। কোহলিদের বিরুদ্ধে তাঁকে প্রথম একাদশে ফেরানো হতে পারে।
কিন্তু লিটন বিদেশি। তিনি দলে এলে বাদ যাবেন কে? অনায়াসে এ ক্ষেত্রে একটাই নাম বলা যেতে পারে। সুনীল নারাইন। না ব্যাটে, না বলে, কিছুতেই কিছু করতে পারছেন না। কেন তাঁকে প্রতি ম্যাচে খেলিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেটাই বড় প্রশ্ন। বেঙ্গালুরুর পাটা উইকেটে এমনিই নারাইনের স্পিন কোনও কাজে লাগবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ফলে নারাইনকে বসিয়ে লিটনকে খেলানো যেতে পারে।
শার্দূল ঠাকুরকেও দলে ফেরানো যেতে পারে। ছন্দে থাকা সত্ত্বেও তাঁকে খেলানো হচ্ছে না। আরসিবির বিরুদ্ধে আগের ম্যাচে কিন্তু তিনিই জিতিয়েছিলেন। জগদীশনকে বসিয়ে শার্দূলকে দলে নেওয়া যেতে পারে। দলে একটা বোলারও বাড়বে। পাশাপাশি আবার শার্দূলের থেকে ব্যাট হাতে ভাল পারফরম্যান্স পাওয়া গেলে তো কথাই নেই। নারাইনকে বাদ দিলে যে শূন্যস্থান রয়েছে, সেটা পূরণ হয়ে যাবে। বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে বরুণ চক্রবর্তীর পাশাপাশি ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসাবে সুযশ শর্মাকে খেলানো যেতে পারে।
প্রশ্ন রয়েছে আরও দু’জনকে নিয়ে। তাঁরা হলেন ডেভিড উইজ়া এবং কুলবন্ত খেজরোলিয়া। উইজ়াকে আগের ম্যাচেই প্রথম খেলানো হয়েছিল। তাঁকে বসালে অতিরিক্ত একজন বোলারকে খেলানো যেতে পারে। টিম সাউদি এবং লকি ফার্গুসন বসেই রয়েছেন দলে। তাঁদের কাউকে প্রথম একাদশে নেওয়া যেতে পারে। খেজরোলিয়ার জায়গায় বৈভব অরোরা বা হর্ষিত রানাকে অনায়াসে নেওয়া যেতে পারে। আগে আইপিএলে খেলেছেন দু’জনেই। খেজরোলিয়ার থেকে খারাপ তো আর খেলবেন না!
কেকেআরের সম্ভাব্য একাদশ: জেসন, লিটন, বেঙ্কটেশ/সুযশ, নীতীশ, রিঙ্কু, রাসেল, শার্দূল, সাউদি, বরুণ, হর্ষিত/বৈভব এবং উমেশ।