বক্সিং ডে টেস্টের প্রথমদিন ঘুরিয়ে অজিঙ্ক রাহানের প্রশংসা শোনা গিয়েছিল সুনীল গাভাসকরের গলায়। বলেছিলেন, “আমি কোনও মন্তব্য করলেই আবার বলা হবে আমি মুম্বইয়ের ক্রিকেটারদেরই প্রশংসা করি।” কিন্তু রাহানের (Ajinkya Rahane) অনবদ্য ১২তম সেঞ্চুরির পর আর তাঁর তারিফ না করে থাকতে পারলেন না কিংবদন্তি। বলেই দিলেন, ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিহাসে এই সেঞ্চুরিটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে রইল।
অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে মুখ থুবড়ে পড়েছিল বিরাট কোহলির (Virat Kohli) টিম ইন্ডিয়া। ৩৬ রানে অল আউট হয়ে লজ্জায় মাথা নত হয়েছিল দলের। কিন্তু রাহানের নেতৃত্বে বক্সিং ডে টেস্টে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারতীয় শিবির। এমনকী তৃতীয় দিনের শেষেই জয়ের হাতছানি ভারতের সামনে। এককথায়, অজিবাহিনীর কাছে হোয়াইটওয়াশের সম্ভাবনা কার্যত শেষই। কোহলির থেকে দায়িত্ব পাওয়ার পর শুধু দুর্দান্ত নেতৃত্বই দেননি রাহানে, ব্যাট হাতেও বুঝিয়ে দিয়েছেন কেন তিনি টেস্টের অন্যতম স্তম্ভ। ঠান্ডা মাথার রাহানের এই অধিনায়োকচিত পারফরম্যান্সে দারুণ খুশি প্রাক্তনীরা। বাদ গেলেন না গাভাসকরও। কেন ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে এই শতরানের, ব্যাখ্যাও দিলেন।
গাভাসকর (Sunil Gavaskar) বলে দিচ্ছেন, “রাহানের সেঞ্চুরিটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটা শুধুই একটা শতরান নয়। এই শতরান প্রতিপক্ষকে বার্তা দেয়, যে গত ম্যাচে ৩৬ রানে অল আউট হয়ে যাওয়ার পরও এইভাবে ঘুরে দাঁড়াতে জানে ভারত। তাই একটা ম্যাচ দেখে তাদের বিচার করা যাবে না। প্রথম টেস্টের পর যদি কেউ ভেবে থাকে টিম ইন্ডিয়াকে সহজেই হারানো সম্ভব, তাহলে তারা ভুল ভাববে।”
তবে এদিন আরও একটি কারণে নেটদুনিয়া কুর্নিশ জানাচ্ছে রাহানেকে। ভারত অধিনায়কের স্পোর্টসম্যান স্পিরিটে মুগ্ধ সকলে। আসলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে রান আউট করে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় রাহানেকে। জাদেজার হতকারিতার জন্যই উইকেট খোয়ায় ভারত। নিজের ভুল বুঝতেও পারেন ভারতীয় অলরাউন্ডার। কিন্তু তাঁর উপর ক্ষোভ উগরে না দিয়ে বরং তাঁকে ভাল করে খেলার পরামর্শ দিয়েই মাঠ ছাড়েন রাহানে। সব মিলিয়ে দিনটা আজ রাহানেময়।