ডার্বির ঘোর বোধহয় এখনও কাটেনি সবুজ-মেরুন সমর্থকদের। ১-০ পিছিয়ে পড়ার পর কিয়ান নাসিরির গোলশোধ। তার পর আবার ডেভিড উইলিয়ামসের পেনাল্টি মিস। নিশ্চিত ড্র হতে চলা ম্যাচে ইনজুরি টাইমে কিয়ানের ডাবল ধামাকা। সেখান থেকে ৩-১ ডার্বি জয়। সবটাই যেন এখনও রূপকথার গল্পের মতোই লাগছে বাগান সমর্থকদের কাছে। কিন্তু নায়ক হয়ে ওঠার দিনেও ঘোর বাস্তববাদী সবুজ-মেরুনের তরুণ তারকা কিয়ান নাসিরি। তিনি যে শুধু হ্য়াটট্রিক করেছেন, তা তো নয়। সর্বকনিষ্ঠ ফুটবলার হিসেবে ইন্ডিয়ান সুপার লিগে হ্যাটট্রিক করার পাশাপাশি, প্রথম ডার্বি খেলতে নেমেই হ্যাটট্রিক, এমনটাও আগে কখনও ঘটেনি। তবে জামশিদ নাসিরির ছেলে কিয়ান কিন্তু বলছেন, ‘এখানে থেমে থাকলে চলবে না, আমাকে অনেক উন্নতি করতে হবে।’
হ্যাটট্রিক করে দলকে জেতানোর জন্য কোনও সেলিব্রেশনও করেননি কিয়ান। এমন কী তাঁর দলও নয়। কারণ তাদের আসল লক্ষ্য তো অন্য। আইএসএল চ্যাম্পিয়ন হওয়া। যে কারণে পরের ম্যাচগুলোতেই পুরো টিম এখন ফোকাস করতে চায়। কিয়ান তাই বলেছেন, ‘উৎসব হওয়ার মতো কিছুই ঘটেনি। তাই কেউ কিছুই করেনি। ডার্বি জিতে অনেক রাতে হোটেলে ফিরে সবার মতোই ডিনার করে শুয়ে পড়েছিলাম। রাতে বাড়ির লোকের সঙ্গেও কথা হয়নি। রবিবার সকালে মা এবং বাড়ির অন্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে। কিন্তু বাবা (জামশিদ নাসিরি) ট্রেনিং করাতে গিয়েছিল বলে এখনও কথা হয়নি।’ এর সঙ্গেই তিনি যোগ করেন, ‘বাবার খেলা কখনও দেখিনি। তবে শুনেছি ডার্বিতে বাবারও অনেক গোল রয়েছে। বাবার সঙ্গে আমি ট্রেনিং করেছি। কিন্তু কখনও আমার সামনে বাবা কোনও লক্ষ্য বেধে দেয়নি। সব সময়ে শুধু বলে, পরিশ্রমের বিকল্প নেই।’ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
কিয়ানের আগে ডার্বিতে হ্যাটট্রিক করেছেন ভাইচুং ভুটিয়া, এডে চিডিরা। তবে কিয়ানের লক্ষ্য, ভাইচুং, চিডিদের লেভেলে আগে ভালো করে ফুটবল খেলা। এর বাইরে তিনি অন্য কিছু ভাবতে রাজি নন। বলেওছেন, ‘শুনেছি, কলকাতা লিগে আমি ছাড়াও ভাইচুং ভুটিয়া, এডে চিডি হ্যাটট্রিক করেছেন। ছোট থেকেই ওঁদের নাম অনেক শুনেছি। আমি তো এখন অনেক জুনিয়র। ওঁদের কাছাকাছি পৌঁছতে পারলে, ভাবব জীবনে কিছু করেছি। ডার্বিতে হ্যাটট্রিক করা বড় বিষয়। কিন্তু আমাদের আসল লক্ষ্যই ছিল তিন পয়েন্ট।’