হার্দিক পাণ্ড্যর ওভারে শেষ বল কি ওয়াইড ছিল? আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওয়াইড ছিল না। কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটার নুরুল হাসান তা মানতে চাননি। তিনি মনে করেন বলটি ওয়াইড ছিল। আইসিসির নিয়ম কী বলছে?
বাংলাদেশের ইনিংসের ১৫তম ওভার চলছিল। বৃষ্টির জন্য সেই ইনিংস ছিল ১৬ ওভারের। অর্থাৎ শেষ ওভারের আগের ওভারে খেলা চলছিল। এমন পরিস্থিতিতে বল করতে এসে হার্দিক প্রথম ৩ বলে ১০ রান দিয়ে বসেন। পরের ৩ বলে তিনি মাত্র ১ রান দেন। শেষ বলটি করার আগে নুরুল অফ স্টাম্পের বাইরে ছিলেন। হার্দিকের বলটি ওয়াইড লাইনের গা ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। রিপ্লেতে দেখা যায় বলটি লাইনের মধ্যে ছিল। সেই কারণেই আম্পায়ার ওয়াইড দেননি। কিন্তু আপত্তি জানান নুরুল। তিনি মনে করেছিলেন বলটি ওয়াইড ছিল। সেই কারণে আম্পায়ারের কাছে আপত্তি জানান তিনি।
শেষ ওভারে ২০ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের। কিন্তু নুরুল এবং তাসকিন আহমেদ ১৪ রান তুলতে পারেন। ৫ রানে হেরে যায় বাংলাদেশ। তাদের সমর্থকদের আফসোস থেকে যাবে ওই ওয়াইডটি নিয়ে। অনেকেই মনে করছেন ওটা ওয়াইড হলে হয়তো পাল্টে যেতে পারত ম্যাচের ফল।
ভারত প্রথমে ব্যাট করে ১৮৪ রান তোলে। লোকেশ রাহুল ৫০ রান করেন। বিরাট কোহলি অপরাজিত থাকেন ৬৪ রানে। ১৬ বলে ৩০ রান করেন সূর্যকুমার যাদব। সেই রান তাড়া করতে নেমে বাংলাদেশের জয়ের আশা বাড়িয়েছিলেন লিটন। তিনি ২৭ বলে ৬০ রান করে আউট হয়ে যান। বৃষ্টির জন্য এর পর বাংলাদেশের লক্ষ্য হয়ে যায় ১৬ ওভারে ১৫১ রান। কিন্তু ১৪৫ রানেই শেষ হয়ে যায় শাকিবদের ইনিংস। ৫ রানে ম্যাচ হেরে যায় বাংলাদেশ।