সোমবার স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে বিশাল জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। আর সেই জয়ে মেতেছে তালিবান। সাধারণত সব ধরনের বিনোদনকেই ‘হারামে’র চোখে দেখে তালিবান। তবে ক্রিকেট এই ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম। বিভিন্ন তালিবান নেতা এই বিষয়ে টুইট করেছেন। আফগান জাতীয় দলের জয় উপভোগ করছেন তালিবান। তবে সাধারণ আফগানের মনে এই জয় যে দাগ কাটতে পারেনি। তালিবান আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার পর এটাই জাতীয় ক্রিকেট দলের জন্য প্রথম বড় জয়।
আফগানিস্তানের পুরোনো পতাকা উড়িয়ে শারজার মাঠে অনেক আফগানকেই জাতীয় দলের সমর্থনে গলা ফাটাতে দেখা যায় গতরাতে। তবে আফগানিস্তানের ক্রিকেট ম্যাচ হলেই যে কাবুলের রাস্তায় মানুষের উল্লাস চোখে পড়ত, গতরাতে সেই কাবুল নিস্তব্ধ ছিল। যুদ্ধ বিধ্বস্ত কাবুলে আজ বিশ্বকাপের জয় যেন অর্থহীন।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এদিকে আফগান জয়ে তালিবান মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ টুইট করে লেখেন, ‘দলকে অভিনন্দন এবং ভবিষ্যতে তাঁদের আরও সাফল্য কামনা করছি।’ তালিবানের কাতার অফিসের এক মুখপত্রও ক্রিকেটারদের প্রশংসা করেন। বলেন, ‘আমরা অন্যান্য ক্ষেত্রে, বিশেষ করে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে এরকম সাফাল্য অর্জন করব বলে আশা করি।’
হাক্কানি নেটওয়ার্কের প্রধান – আফগানিস্তানের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সিরাজউদ্দিন হাক্কানির ছোট ভাই আনাস হাক্কানিও জাতীয় ক্রিকেট দলকে কুর্নিশ জানান। টুইটে লেখেন, ‘আফগানিস্তান জিতেছে।’ রাষ্ট্রসংঘে তালিবানের প্রতিনিধি সুহেল শাহিন টুইট করে লেখেন, ‘ভালো কাজ করেছে ছেলেরা!’
তবে এই জয়ের পরও কাবুল জুড়ে আপেক্ষিক নীরবতা ছিল। এর আগে সেখানে এই ধরনের জয়ের উল্লাসে রাস্তায় নামত কাবুলবাসী। আতশবাজি ফাটানো হত। তবে বন্দুকের নলের সামনে সেই উদযাপন আর চোখে পড়ল না। কাবুলের আকাশে কয়েকটি মাত্র ছোট আতশবাজি দেখা যায়। তবে রাস্তায় নামেনি লোকজন। নামবেই বা কী করে! যেই পতাকার গৌরবের জন্য নবি-রশিদরা খেললেন, সেই পতাকা তো নিষিদ্ধ করেছে তালিবান…