ঝুলনের চোট, মিতালিদের স্ট্রাইক-রেট, খারাপ ফিল্ডিং, ভারত কেন বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যেতে পারেনি, দেখুন ৫টি কারণ

1/5লিগের শেষ ম্যচ পর্যন্ত ভারতের সামনে সুযোগ ছিল সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করার। কোনও নেট রান-রেটের জটিল অঙ্ক নয়, বরং হিসাবটা ছিল নিতান্ত সহজ। দক্ষিণ আফ্রিকাকে শেষ ম্যাচে হারালে ভারত সেমিফাইনালে যেত, হারলে বিদায়। এমন মহা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে অভিজ্ঞ পেসার ঝুলন গোস্বামীর চোট পেয়ে প্রথম একাদশ থেকে ছিটকে যাওয়ার মাশুল চোকাতে হয় ভারতকে। চাপের মুখে ঝুলন বহু ম্যাচে মাথা ঠান্ডা রেখে ভারতকে জয় এনে দিয়েছেন। তবে বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে এমনই চাপের মুখে ঝুলনের অভাব মেটাতে পারেননি বাকি বোলাররা। ক্যাপ্টেন মিতালি ম্যাচের শেষে স্পষ্টই জানান যে, তিনি মিস করেছেন ঝুলনকে। সুতরাং, ভারতের সেমাফাইনালে যেতে না পারার অন্যতম কারণ গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ঝুলনের চোট পেয়ে বসা।

বিশ্বকাপে যত সময় গড়িয়েছে, স্পিনারদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। স্নেহ রানা ও রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় শুরু থেকেই পরিচিত ছন্দে ছিলেন, তবে নির্ভরযোগ্য দীপ্তি শর্মা তাঁদের যথাযথ সঙ্গত করতে পারেননি। দীপ্তি ব্যাট হাতেও সুনাম অনুযায়ী নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। অথচ ভারতের বিশ্বকাপ অভিযানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘুঁটি ছিলেন দীপ্তি। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, দীপ্তিকে রিজার্ভ বেঞ্চেও পাঠাতে হয়েছিল।
2/5বিশ্বকাপে যত সময় গড়িয়েছে, স্পিনারদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায়। স্নেহ রানা ও রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় শুরু থেকেই পরিচিত ছন্দে ছিলেন, তবে নির্ভরযোগ্য দীপ্তি শর্মা তাঁদের যথাযথ সঙ্গত করতে পারেননি। দীপ্তি ব্যাট হাতেও সুনাম অনুযায়ী নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। অথচ ভারতের বিশ্বকাপ অভিযানের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘুঁটি ছিলেন দীপ্তি। পরিস্থিতি এমন দাঁড়ায় যে, দীপ্তিকে রিজার্ভ বেঞ্চেও পাঠাতে হয়েছিল।
গোটা টুর্নামেন্টে ভারতের ব্যাটিয়ের ফাঁক-ফোকর চোখে পড়ে বিস্তর। মিতালি শুরুর দিকে রান পাননি। শেফালিও ছন্দে ছিলেন না। বিশেষ করে বেশ কয়েকটি ম্যাচে ভালো শুরু করেও বড় রানের ইনিংস গড়তে না পারার মাশুল দিতে হয়েছে দলকে। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে স্লগ ওভারে দ্রুত রান তুলতে পারত ভারত। কোথাও একটা আড়াইশো টপকেই আত্মতুষ্টির মানসিকতা চোখে পড়ে ভারতীয় দলের মধ্যে। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অতি সতর্ক হতে গিয়ে ভরাডুবির মুখে পড়েন মিতালিরা। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে ধারাবাহিকভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি ভারতের ব্যাটাররা। 
3/5গোটা টুর্নামেন্টে ভারতের ব্যাটিয়ের ফাঁক-ফোকর চোখে পড়ে বিস্তর। মিতালি শুরুর দিকে রান পাননি। শেফালিও ছন্দে ছিলেন না। বিশেষ করে বেশ কয়েকটি ম্যাচে ভালো শুরু করেও বড় রানের ইনিংস গড়তে না পারার মাশুল দিতে হয়েছে দলকে। অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে স্লগ ওভারে দ্রুত রান তুলতে পারত ভারত। কোথাও একটা আড়াইশো টপকেই আত্মতুষ্টির মানসিকতা চোখে পড়ে ভারতীয় দলের মধ্যে। ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে অতি সতর্ক হতে গিয়ে ভরাডুবির মুখে পড়েন মিতালিরা। ব্যাটিং ইউনিট হিসেবে ধারাবাহিকভাবে নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি ভারতের ব্যাটাররা। 
ভারতের ব্যাটারদের স্ট্রাইক-রেট তাদের সেমিফাইনালে যেতে না পারার অন্যতম কারণ হতে পারে। কার্যত সবাইকেই ধৈর্যশীল ইনিংস খেলতে দেখা গিয়েছে। স্মৃতি মন্ধনা-হরমনপ্রীত কউররা রান পেলেও যে রকম ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালাতে অভ্যস্ত, তেমনটা দেখা যায়নি মোটেও। টুর্নামেন্টে হরমনপ্রীতের স্ট্রাইক-রেট ছিল ৯১.৬৪। মন্ধনার স্ট্রাইক-রেট ৭৮.০৪। যস্তিকা ভাটিয়ার স্ট্রাইক-রেট ৬৯.২৬। মিতালির স্ট্রাইক-রেট ৬২.৯৭। শেফালি গোটা দু'য়েক ম্যাচে দাপুটে শুরু করেন, তবে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নিজের ইনিংসকে টেনে নিয়ে যেতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেফালির রান-আউট হয়ে সাজঘরে ফেরারও মাশুল গুনতে হয়েছে ভারতকে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রান-আউট হওয়ার বদভ্যাস ত্যাগ করতে পারেনি ভারতীয় ব্যাটাররা। এটা পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাবটাকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দীপ্তি শর্মা ও রিচা ঘোষ রান-আউট হন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রান-আউট হন পূজা বস্ত্রকার।
4/5ভারতের ব্যাটারদের স্ট্রাইক-রেট তাদের সেমিফাইনালে যেতে না পারার অন্যতম কারণ হতে পারে। কার্যত সবাইকেই ধৈর্যশীল ইনিংস খেলতে দেখা গিয়েছে। স্মৃতি মন্ধনা-হরমনপ্রীত কউররা রান পেলেও যে রকম ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালাতে অভ্যস্ত, তেমনটা দেখা যায়নি মোটেও। টুর্নামেন্টে হরমনপ্রীতের স্ট্রাইক-রেট ছিল ৯১.৬৪। মন্ধনার স্ট্রাইক-রেট ৭৮.০৪। যস্তিকা ভাটিয়ার স্ট্রাইক-রেট ৬৯.২৬। মিতালির স্ট্রাইক-রেট ৬২.৯৭। শেফালি গোটা দু’য়েক ম্যাচে দাপুটে শুরু করেন, তবে সুযোগ থাকা সত্ত্বেও নিজের ইনিংসকে টেনে নিয়ে যেতে পারেননি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেফালির রান-আউট হয়ে সাজঘরে ফেরারও মাশুল গুনতে হয়েছে ভারতকে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে রান-আউট হওয়ার বদভ্যাস ত্যাগ করতে পারেনি ভারতীয় ব্যাটাররা। এটা পারস্পরিক বোঝাপড়ার অভাবটাকেই চোখে আঙুল দিয়ে দেখায়। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দীপ্তি শর্মা ও রিচা ঘোষ রান-আউট হন। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রান-আউট হন পূজা বস্ত্রকার।
বিশ্বকাপে ফিল্ডিংয়ের দুর্বলতা ঢাকা সম্ভব হয়নি ভারতের পক্ষে। ক্যাচ ফেলার রোগ সারার লক্ষণ দেখা যায়নি গোটা টুর্নামেন্টে। গোটা বিশ্বকাপে ভারতীয় ফিল্ডারদের হাত থেকে জীবন দান পেয়ে কার্যকরী অবদান রেখেছেন প্রতিপক্ষ দলের একাধিক ক্রিকেটার। সঙ্গে রান-আউটের সুযগো, এমনকি কয়েকটি স্টাম্প আউটেরও সুযোগ নষ্ট করেছে ভারত।
5/5বিশ্বকাপে ফিল্ডিংয়ের দুর্বলতা ঢাকা সম্ভব হয়নি ভারতের পক্ষে। ক্যাচ ফেলার রোগ সারার লক্ষণ দেখা যায়নি গোটা টুর্নামেন্টে। গোটা বিশ্বকাপে ভারতীয় ফিল্ডারদের হাত থেকে জীবন দান পেয়ে কার্যকরী অবদান রেখেছেন প্রতিপক্ষ দলের একাধিক ক্রিকেটার। সঙ্গে রান-আউটের সুযগো, এমনকি কয়েকটি স্টাম্প আউটেরও সুযোগ নষ্ট করেছে ভারত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.