পরপর দুই ম্যাচে হার। অধিনায়ক বদলেও সুবিধা হয়নি। মুম্বইয়ের কাছে পর্যূদস্ত হতে হয়েছিল KKR-কে। অন্যদিকে, পয়েন্ট টেবিলে সুবিধাজনক জায়গায় নেই হায়দরাবাদও। শেষ চারে যেতে এই ম্যাচ জিততেই হবে। এই পরিস্থিতিতেই মাঠে নেমেছিল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (Sunrisers Hyderabad) এবং কলকাতা নাইট রাইডার্স (Kolkata Knight Riders)। আর হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচও গড়াল সুপার ওভারে। তবে প্রথম সুযোগ পাওয়া লকি ফার্গুসনই এদিন কেকেআরকে মূল্যবান জয় এনে দিলেন। ম্যাচে তিনটি উইকেট নেওয়ার পাশাপাশি সুপার ওভারে তিন বলে দু’রান দিয়ে দু’উইকেট নিলেন।
এদিন প্রথমে ব্যাট করে নেমে নাইটদের ইনিংস শেষ হল মাত্র ১৬৩ রানে। যদিও শুরুটা অন্যদিনের তুলনায় ভাল করেছিল নাইটরা। গিল, রানা, ত্রিপাঠি সবাই শুরুটা ভাল করেছিলেন। কিন্তু সেভাবে বড় রান কেউই করতে পারলেন না। গিল ৩৬, রানা ২৯ এবং ত্রিপাঠি ২৩ রান করলেন। এদিন আরও একবার ব্যর্থ হলেন রাসেল। ১১ বলে করলেন মাত্র ৯ রান। শেষবেলায় কার্তিক এবং মর্গ্যান জুটি নাইটদের স্কোর সম্মানজনক জায়গায় পৌঁছে দেয়। কার্তিক করলেন ১৪ বলে ২৯ রান। মর্গ্যান করলেন ২৩ বলে ৩৪।
তবে এদিন কেকেআর দলগঠন নিয়ে কিছুটা হলেও প্রশ্ন থাকবেই। কারণ হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে নামার আগেই একটা বড়সড় সুখবর পেয়েছিল তাঁরা। কিন্তু, সেই সুসংবাদের সুবিধা তাঁরা নেয়নি। ম্যাচের আগেই দলের অন্যতম সেরা বোলার সুনীল নারিনকে ক্লিনচিট দিয়ে দিয়েছিল আইপিএল কর্তৃপক্ষ। তাঁর অ্যাকশন নিয়ে যে প্রশ্ন উঠেছিল, তা খারিজ করে দেওয়া হয়। তাই আজকের ম্যাচে খেলতে নারিনের কোনও বাধা ছিল না। কিন্তু শেষপর্যন্ত নাইট শিবির আজকের ম্যাচে নারিনকে খেলায়নি।
যদিও ম্যাচে দুর্দান্ত বোলিং করেন নাইট বোলাররা। ১৬৪ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ৬ ওভারে শুরুটা ভালই করেছিলেন বেয়ারস্টো এবং উইলিয়ামসন। কিন্তু পাওয়ার প্লে শেষ হতেই খেলায় ফেরে কেকেআর। সপ্তম ওভারের প্রথম বলেই আউট হন উইলিয়ামসন। এরপর দ্রুত প্রিয়ম গর্গ (৪), বেয়ারস্টো (৩৬), মনীশ পাণ্ডে (৬) এবং বিজয় শংকরের (৭) উইকেট হারায় হায়দরাবাদ। কার্যত প্রথম ম্যাচ খেলা লকি ফার্গুসনের একটি স্পেলেই ম্যাচে ফেরে নাইটরা। তবে পালটা রুখে দাঁড়ান হায়দরাবাদ অধিনায়ক ওয়ার্নার। আবদুল সামাদকে নিয়ে দ্রুত গতিতে রান তাড়া করতে থাকেন। সামাদকে দুরন্ত ক্যাচে গিল ফেরালেও ওয়ার্নার একাই যেন যথেষ্ট ছিলেন। এর মধ্যেই আবার শেষ ওভারে মর্গ্যান বল তুলে দেন চোটগ্রস্ত রাসেলের হাতে। যা নিয়ে অনেকেই ভ্রু কোঁচকান। ম্যাচ সুপার ওভারে যাওয়ার জন্য রাসেলের শেষ বলটি যেমন গুরুত্বপূর্ণ ছিল, তেমনই ভুললে চলবে না ওই ওভারে পরপর তিনটি চারও মারেন ওয়ার্নার। শেষ বলে দরকার ছিল ১ বলে ২ রানের। তবে একরানই করতে পারে হায়দরাবাদ। ফলে দু’দলের রানই সমান হয়ে যায়। আর ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।
কিন্তু শেষপর্যন্ত অবশ্য সুপার ওভারে (Super Over) ‘হিরো’ বনে যান সেই লকি ফার্গুসন। প্রথম বলেই ফেরান বিপজ্জনক ওয়ার্নারকে। এরপর দ্বিতীয় বলে দেন দু’রান। আর তৃতীয় বলে ফের উইকেট নেন। বোল্ড করেন আবদুল সামাদকে। আর ব্যাট করতে নেমে সহজেই তিন রান তুলে ফেলেন নাইটরা।