চার ওভার বল করে মাত্র চার রান খরচ করে পাঁচটি উইকেট। সঙ্গে রয়েছে ২০টি ডট বল! টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এ ধরনের বোলিং পরিসংখ্যান দেখলে চোখ কপালে উঠতে পারে। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে ভুবনেশ্বর কুমার মাঠ ছাড়লেন ঠিক সেই পরিসংখ্যান নিয়েই। তাঁর বোলিংয়েই কোমর ভেঙে গেল মহম্মদ নবিদের।
পাকিস্তান এবং শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ভুবনেশ্বরের বোলিং সমালোচিত হয়েছিল। ধারেভারে কোনও অংশে কম নয় আফগানিস্তানও। তাদের বিরুদ্ধে নিজের ছন্দেই পাওয়া গেল ভারতের জোরে বোলারকে। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার নিয়ে বললেন, “মনে হচ্ছে দিনটা আজ আমার ছিল। পাওয়ার প্লে-তে উইকেট পেয়েছি। খেয়াল করলে দেখবেন, সাদা বলে সে ভাবে স্যুইং পাওয়া যায়নি। তবে আজ অনেক স্যুইং করেছে। যেখানেই বল করছিলাম সেখানেই উইকেট পাচ্ছিলাম।” ভুবনেশ্বরের সংযোজন, “আগের দুটো ম্যাচের দিকে তাকান। পাকিস্তান বা শ্রীলঙ্কা, কোনও ম্যাচেই আমরা স্যুইং পাইনি। সাদা বলে এতটা স্যুইং পাওয়া সত্যিই বিশ্বাস করা যায় না।”
ভুবনেশ্বর দুরন্ত বোলিং করলেও, ছন্দে পাওয়া গেল না দীপক চাহারকে। প্রতিযোগিতায় স্ট্যান্ডবাই হিসাবে থাকার পর আবেশ খান ছিটকে যাওয়ায় দলে এসেছেন। বৃহস্পতিবার প্রথম একাদশে সুযোগ পেলেন। কিন্তু চার ওভারে ২৮ রান গলিয়ে দিলেন। সতীর্থ বোলারকে নিয়ে ভুবনেশ্বর বলেছেন, “চাহার সবে চোট সারিয়ে ফিরেছে। দু’দিকেই বল ঘোরাতে পারে। এখন ওকে একটু সময় দেওয়া দরকার। আমাদের কাছে প্রতিযোগিতা ভালই গিয়েছে। বিশ্বকাপের আগে যথেষ্ট প্রস্তুতি হল।”