রাজস্থান রয়্যালসের পেস বোলার কার্তিক ত্যাগীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ ভারতের অন্যতম সেরা বোলার জসপ্রীত বুমরাহ। মঙ্গলবার যেভাবে কার্তিক বল করেছেন তাতে অভিভূত বুমরাহ। আর নিজের নায়কের থেকে প্রশংসা পেয়ে তার প্রতিক্রিয়া দিতে দেরি করেননি কার্তিক। আসলে কার্তিকের অবিশ্বাস্য স্পেলে শেষ ওভারে বাজিমাত রাজস্থান। হারা ম্যাচ জিতে ফিরেছে সঞ্জু স্যামসনরা। ক্রিকেট যে অনিশ্চিয়তার খেলা তা আরও একবার প্রমাণ করলেন কার্তিক ত্যাগী।
ক্রিকেটে কখন যে কি হয়, তা আগে থেকে বলা মুশকিল। জেতা ম্যাচও হাতছাড়া হয়। আবার হারা ম্যাচও জিতে যাওয়া যায়। এরই নাম ক্রিকেট। ভাগ্য দেবতা কখন সঙ্গ দেবে কেউ জানেনা। চলতি আইপিএলে মঙ্গলবার অন্যতম সেরা ম্যাচ দেখল ক্রিকেটপ্রেমীরা। টানটান উত্তেজনার ম্যাচ দেখল ক্রিকেট বিশ্ব। শেষ পর্যন্ত জেতা ম্যাচ হারল পঞ্জাব কিংস। আর হেরে যাওয়া ম্যাচ জিতল রাজস্থান রয়্যালস। সৌজন্যে অবশ্যই কার্তিক ত্যাগী। তাই তো তাকে ম্যাচের সেরাও করা হল।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এদিনের ম্যাচে রাজস্থানের ১৮৫ রান তাড়া করছিল কেএল রাহুলরা। ম্যাচের প্রথম থেকেই অসাধারণ খেলছিল পঞ্জাব। ম্যাচের শেষ ওভারে পঞ্জাব কিংসের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৪ রান। ক্রিজে ছিলেন নিকোলাস পুরান আর এইডেন মার্করাম, দুজনেই সেটলড হয়ে গিয়েছিলেন। সকলে ধরেই নিয়েছিলেন এই ম্যাচ নিশ্চিত জিতবে পঞ্জাব। ডাগ আউটে হাসি মুখে লোকেশ রাহুলরা। বল করতে গেলেন তরুণ পেসার কার্তিক ত্যাগী। শেষ ওভারে তিনি দিলেন মাত্র ২ রান। নিলেন ২ উইকেট। অবিশ্বাস্য।
একটা দল ম্যাচ হেরে বিশ্বাস করতে পারছে না। আরেকটা দলের সমর্থকরা হারা ম্যাচ জিতেও বিশ্বাস করতে পারছে না। পুরোটাই যেন স্বপ্নের মতো। যে স্বপ্নের ফেরিওয়ালা হয়ে থাকলেন কার্তিক ত্যাগী। এরপরেই তরুণ পেস বোলারের পর্শংসা করেন বুমরাহ। নিজের সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি লেখেন দারুণ করেছ। এটাকে ধরে রাখার চেষ্টা করবে। তিনি লেখেন, ‘কি দারুণ একটা ওভার। এই ধরনের চাপের মধ্যে ঠান্ডা মাথা বজায় রেখে কাজটি সম্পন্ন করাটা দুর্দান্ত ব্যাপার। এটা দেখতে বেশ লাগল।
নিজের নায়কের থেকে প্রশংসা পেয়েই উত্তর দিতে অপেক্ষা করেননি ত্যাগী। তিনি নিজের টুইটারে লেখেন, ‘আমার নায়কের কাছ থেকে প্রশংসা পেয়ে খুব ভালো লাগছে।’