জল্পনা চলছিল অনেকদিন ধরেই। এবার পড়ল সিলমোহর। ‘কনকাশন’ সাবস্টিটিউটের পর জেন্টলম্যান্স গেমে নয়া সংযোজন COVID-19 রিপ্লেসমেন্ট অথবা ‘করোনা পরিবর্ত’। মঙ্গলবার নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে একাধিক নয়া নিয়মের কথা বিস্তারিত জানাল আইসিসি (ICC)।
দিন কয়েক আগে ইংল্যান্ড ও ওয়েলশ ক্রিকেট বোর্ডই (ECB) আইসিসি’র কাছে প্রস্তাব রেখেছিল, করোনা উত্তর যুগে ক্রিকেট শুরু হলে সেখানে ‘করোনা পরিবর্ত’ চালু করার কথা ভাবতে। অর্থাৎ টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন কোনও ক্রিকেটারের করোনা ধরা পড়লে তাঁর পরিবর্ত হিসেবে আর একজন নেমে পড়তে পারবেন। ইসিবির সেই প্রস্তাবে এবার সবুজ সংকেত দিল বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা। এদিন আইসিসির ওয়েবসাইটে এ নিয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়। জানানো হয়, টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন এক বা একের বেশি ক্রিকেটারের করোনা ধরা পড়লে তাঁর পরিবর্ত ব্যবহার করতে পারবে দল। তবে কনকাশন সাবস্টিটিউটের মতো এক্ষেত্রেও ম্যাচ রেফারিই পরিবর্ত বেছে নেবেন। যদিও এই নিয়ম ওয়ানডে কিংবা টি-টোয়েন্টিতে প্রযোজ্য নয়।
এছাড়াও আরও কয়েকটি নিয়মের উল্লেখ করা হয়েছে। চলুন জেনে নেওয়া যাক।
বলে থুতু লাগানো যাবে না: বল চকচকে করতে কোনওভাবেই থুতুর ব্যবহার চলবে না। প্রথমদিকে অভ্যাসবশত কোনও বোলার তা করে ফেললে আম্পায়ার পরিস্থিতি সামলে নেবেন। কিন্তু একই ভুলের পুনরাবৃত্তি হলে কড়া হবে আইসিসি। দলকে সতর্ক করা হবে। প্রতি ইনিংসে দুবার সতর্ক করবেন আম্পায়ার। তবে তার বেশি হলেই যে দল তখন ব্যাট করছে, তারা পাঁচ রান পেনাল্টি হিসেবে পেয়ে যাবে। ভুলবশত বোলার থুতু লাগালে পরের ডেলিভারির আগে তা বোলারকে পরিষ্কারের নির্দেশ দেবেন আম্পায়ারই।
নিরক্ষেপ আম্পায়ার অপ্রয়োজন: সাধারণত কোনও ক্রিকেট ম্যাচের জন্য নিরপেক্ষ আম্পায়ারকেই বেছে নেওয়া হয়। যাতে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ না ওঠে। কিন্তু আপাতত সেই নিয়ম বাতিল করা হল। স্থানীয় আম্পায়ারই ম্যাচ পরিচালনা করতে পারবেন।
অতিরিক্ত DRS রিভিউ: ডিআরএস নষ্ট হলেও এবার থেকে প্রতি ইনিংসে অতিরিক্ত একটি করে ডিআরএস (DRS) পাবে দুই দল। অনভিজ্ঞ আম্পায়ারদের সুবিধা করে দিতেই এই সিদ্ধান্ত। অর্থাৎ এখন থেকে টেস্টে তিনবার ও সাদা বলের ফরম্যাটে দু’বার করে ভুল ডিসিশন নেওয়ার সুযোগ মিলবে।