আইপিএলের দলগুলির জার্সি পরে খেলছেন চাষের মাঠের শ্রমিকরা। হর্ষ ভোগলের মিমিক্রি করা এক ব্যক্তি ধারাভাষ্য দিচ্ছেন। ইন্টারনেট থেকে ডাউনলোড করা হয়েছে দর্শকদের উচ্ছ্বাসের অডিয়ো। তা দিয়েই ভুয়ো আইপিএল চালিয়ে রাশিয়ার বেটিংয়ে আসক্ত লোকজনদের সঙ্গে প্রতারণার অভিযোগ উঠল গুজরাটের গ্রামের একটি চক্রের বিরুদ্ধে।
দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইপিএল শেষ হওয়ার তিন সপ্তাহ পরে গুজরাটের মলিপুর গ্রামে ‘ক্রিকেট লিগ’ শুরু হয়ছিল। বেটিংয়ে আসক্ত ব্যক্তিদের বোকা বানাতে একেবারে ছক কষে এগিয়েছিল ওই প্রতারণা চক্র। ২১ জন শ্রমিক এবং বেকার যুবকদের ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে চেন্নাই সুপার কিংস, গুজরাট টাইটানস এবং মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সি পরানো হচ্ছিল। পাঁচটি হাই-ডেফিশন ক্যামেরার সামনে আম্পায়ারিং করা হচ্ছে বলেও দেখানোর চেষ্টা করা হয়েছিল। পুরো বিষয়ে গ্রহণযোগ্যতা আনতে ইন্টারনেট দর্শকদের উচ্ছ্বাসের অডিয়ো ডাউনলোড করে চালানো হত। যা আইপিএল নামে একটি ইউটিউব অ্যাকাউন্ট থেকে ম্যাচের ‘সরাসরি’ সম্প্রচারও করা হত বলে জানানো হয়েছে।
তবে ‘নক-আউট’ ম্যাচের মধ্যেই প্রতারণা চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইতিমধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। হাওয়ালার মাধ্যমে কীভাবে বেটিংয়ের টাকা হাতানো হত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তারইমধ্যে পুলিশ জানিয়েছে, আট মাস রাশিয়ায় কাটিয়ে মলিপুরে ফিরেছিলেন সেই ভুয়ো আইপিএলের ‘মুখ্য আয়োজক’ শোয়েব দাভদা। সেখানেই দেখা গিয়েছে মূল ষড়যন্ত্রকারী আসিফ মহম্মদের সঙ্গে। বেটিংয়ের রমরমা দেখে সেই ভুয়ো ক্রিকেট লিগের পরিকল্পনা করেন। সেজন্য কৃষি জমি কিনে ২১ জনকে ভাড়া করা হয়। ক্যামেরাম্যানও নিয়োগ করেছিল শোয়েব।