আজ ইউরোতে (Euro Cup 2020) অভিযান শুরু করছে ইটালি। প্রথম ম্যাচে তুরস্কের মুখোমুখি হবে আজুরিরা। পর্তুগাল, ফ্রান্স এবং ইংল্যান্ডের সঙ্গে সঙ্গে এবারে ইটালির নামের পাশেও জুড়ে দেওয়া হয়েছে ফেভরিট তকমা। কারণ, কোচ রবার্তো ম্যানচিনির অধীনে দুর্দান্ত ফর্মে ইটালিয়ানরা।
শক্তি:
দারুণ মাঝমাঠ। মার্কো ভেরাত্তি, নিকোলো বারেলার মতো নিখুঁত পাসাররা আছেন। যাঁরা আবার ওয়ার্কলোডও নিতে পারেন। জর্জিনহোর কথাও বলতে হবে। বিশ্বমানের হোল্ডিং মিডফিল্ডার। চেলসির (Chelsea) জার্সিতে দুরন্ত ছন্দে রয়েছেন।
দুর্বলতা:
ইটালির যে ইউরো দল ঘোষণা করেছে সেই স্কোয়াডের অধিকাংশ ফুটবলারদের বড় আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলার অভিজ্ঞতা নেই। তার উপর দলে কোনও বিশ্বমানের ফরোয়ার্ড নেই।
[আরও পড়ুন: Euro 2020: তারুণ্য এবং অভিজ্ঞতায় ভর করেই চোকার্স বদনাম ঘোচাতে চায় নেদারল্যান্ডস]
এক্স ফ্যাক্টর:
মার্কো ভেরাত্তি। দুর্দান্ত পাস করতে পারেন। বিপক্ষের অর্ধে ঢুকে লড়াই করেন। প্রয়োজনে গোলও করতে পারেন।
পুরো দল:
ডোনারুমা (গোলরক্ষক), অ্যালেক্স মেরেট (গোলরক্ষক), সালভাটোর সিরিগু (গোলরক্ষক), ফ্র্যান্সেস্কো অ্যাকেরবি, কিয়েলিনি, বোনুচ্চি, ডি লরেঞ্জো, এমারসন, ফ্লোরেঞ্জি, লিওনার্দো স্পাইনাজোলা, নিকলো বারেলা, ক্রিসট্যান্টে, জর্জিনহো, মার্কো ভেরাত্তি, ম্যানুয়েল লোকাতেলি, পেলেগ্রিনি, মাত্তেও পেসিনা, আন্দ্রে বেলেতি,ডমিনিকো বেরার্ডি, ফ্রেডরিকো, বার্নার্ডেসচি, ফ্রেডরিকো চিসা, সিরো ইমমোবিল, লরেঞ্জো ইনসাইন, রাসপাডোরি
টিম ফর্মেশন: ৪-৩-৩
হেডমাস্টার:
রবার্তো মানচিনি। ইটালিয় মানসিকতারই কোচ। দলের রক্ষণকে আঁটসাঁট রাখতে ভালবাসেন। ট্যাকটিকালি নিখুঁত।
সম্ভাব্য প্রথম একাদশ:
ডোনারুমা (গোলরক্ষক), ফ্লোরেঞ্জি,কিয়েলিনি, বোনুচ্চি, স্পাইনাজোলা, নিকলো বারেলা,জর্জিনহো, মার্কো ভেরাত্তি/ ম্যানুয়েল লোকাতেলি,সিরো ইমমোবিল, লরেঞ্জো ইনসাইন,ফ্রেডরিকো চিসা
ইউরোয় সেরা ফল:
১৯৬৮ ইউরোয় চ্যাম্পিয়ন।
২০০০ ও ২০১২-তে রানার্স।
সম্ভাবনা: ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপে যোগ্যতাঅর্জন করতে ব্যর্থ হয় ইটালি। আসলে প্রথমে ২০১৬-র ইউরোর পর আন্তোনিও কন্তের বিদায়, তার পর জিয়ান পিয়েরো ভেঞ্চুরা নামক এক বিদঘুটে কোচের আবির্ভাবে আরও বারোটা বেজেছিল আজুরিদের। তাঁর অহেতুক আলট্রা ডিফেন্সিভ সিস্টেমের ফুটবল রাশিয়া বিশ্বকাপের টিকিট পেতে দেয়নি ইটালিকে। এরপর মানচিনিকে কোচ করে নিয়ে আসে ইতালি। এবং প্রথম ম্যাচেই আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে ৪—৩—৩ আক্রমণ ছকে চলে যান মানচিনি। ম্যাচটা হেরেছিল ইতালি, কিন্তু পরিবর্তনের সূচনা সে দিনই হয়ে গিয়েছিল। ইউরোর যোগ্যতাঅর্জন পর্বে দশটা খেলে দশটাতেই জয়, গোল ৩৭টা! আপফ্রন্টে ইমমোবিল, বেলোত্তি, ইনসাইনের মতো ফুটবলার। মিডফিল্ডে স্তেফানো সেনসি এবং পেলেগ্রিনি, জর্জিনহো,ভেরাত্তি, বারেলা। মানচিনি জমানায় যত শক্তিশালী হয়েছে আক্রমণ, তত দুর্বল হয়েছে ডিফেন্স। যা এতদিন ছিল আজুরির মণিহার, সেটাই এখন কাঁটা!