রবিবাসরীয় রাতে (ভারতীয় সময় অনুযায়ী) প্রিমিয়র লিগে মুখোমুখি হয়েছিল সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে দুই ধারাবাহিক ইংলিশ ক্লাব দু’টি। অ্যানফিল্ডে লিভারপুল এবং ম্যাঞ্চেস্টার সিটির মধ্যেকার রোমহর্ষক ম্যাচ ৯০ মিনিটের টানটান উত্তেজনার পর ২-২ ব্যবধানে ড্রয়ে শেষ হয়।
ম্যাচের প্রথমার্ধে অবশ্য লিভারপুল একেবারেই নিজেদের ছন্দে খেলতে পারেনি। সিটির ক্রমাগত আক্রমণে খানিকটা দিশেহারা দেখাচ্ছিল রেডসদের। সিটির হয়ে ফিল ফডেনের শট লিভারপুল গোলরক্ষক অ্যালিসনের দুরন্তভাবে বাঁচিয়ে দেন। কেভিন ডি’ব্রুইন নিজের হেডার গোলে রাখতে না পারায় সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করেন। প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য। দ্বিতীয়ার্ধে যে লিভারপুল তেড়েফুড়ে মাঠে নামবে, তার সম্ভাবনা ছিলই, হলও তাই। ৫৯ মিনিটে সালাহের তৈরি করা দুরন্ত প্রতিআক্রমণ থেকে সাদিও মানে ৫৯ মিনিটে গোল করে রেডসদের এগিয়ে দেয়।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
সাম্প্রতিক সময়ে লিভারপুলের বিরুদ্ধে নাগাড়ে বেশ কয়েকটি চোখ ধাঁধানো পারফারম্যান্স দিয়েছেন ফিল ফডেন। তিনি ৬৯ মিনিটে মার্সিসাইডারদের বিরুদ্ধে নিজের তৃতীয় ম্যাচে তৃতীয় গোলটি করে সিটিকে সমতায় ফেরান। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকলেও এতক্ষণে ফের চিরাচরিত ছন্দে সিটি-লিভারপুল একে অপরের গোল লক্ষ্য করে একের পর এক আক্রমণ শানাতে থাকে। ৭৬ মিনিটে মহম্মদ সালাহ, সম্ভবত এখনও অবধি এই প্রিমিয়র লিগ মরশুমের সেরা গোলটি করে লিভারপুলকে পুনরায় লিড এনে দেন।
মিশরীয় মহাতারকা ব্যক্তিগত দক্ষতায় দুরন্ত শক্তি এবং ঠান্ডা মাথায় চারজন সিটি ডিফেন্ডারকে পরাস্ত করে অসাধারণ গোল করেন। সালাহের গোলে কিন্তু সিটি আশাহত হয়নি, বরং নিজেদের স্বাভাবিক খেলা চালিয়ে যায় পেপ গুয়ার্দিওলার দল। ৮১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে ডি’ব্রুইনের বাঁ-পায়ের শট লিভারপুল ডিফেন্ডার জোয়েল মাটিপের গায়ে লেগে অ্যালিসনকে পরাস্ত করে। সেট পিস থেকে প্রায় ফাঁকা গোলের সামনে লিভারপুল পুনরায় এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ এসেছিল ফ্যাবিনহোর সামনে। তবে রড্রি এক বিশ্বমানের ব্লকে সেই গোল রুখে দেন। ম্যাচে আর গোল হয়নি। প্রায় প্রথম এক ঘন্টা গোল না হলেও শেষ ৩০ মিনিটে চারটি অসাধারণ গোল এবং কিছু অবিস্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দেয় এই ম্যাচটি।
এই ড্রয়ের ফলে লিভারপুল একমাত্র প্রিমিয়র লিগ দল হিসাবে মরশুমে এখনও অপরাজিত থাকলেও, শীর্ষে থাকা চেলসির থেকে এক পয়েন্ট কম ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রইল। ম্যাঞ্চেস্টার সিটি লিভারপুলের থেকে এক পয়েন্ট কম নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। আন্তর্জাতিক উইন্ডোর পর ১৬ অক্টোবর লিভারপুল মুখোমুখি হবে ওয়াটফোর্ডের, সিটির পরবর্তী প্রতিপক্ষ বার্নলে।