দশ নয়, আইএসএলের (ISL) সপ্তম মরশুমে খেলবে ১১ দল। প্রথমবার দেশের সর্বোচ্চ লিগে দেখা মিলবে ময়দানের দুই প্রধান মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের। নতুন রূপে ডার্বি উপভোগ করবেন ফুটবলপ্রেমীরা। ইস্টবেঙ্গলের অন্তর্ভূক্তির কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণাও করে দিয়েছেন নীতি আম্বানি। কিন্তু তারপরও লাল-হলুদ শিবিরে নতুন করে তৈরি হয়েছে জটিলতা। চলতি বছর শেষমেশ ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) আইএসএল খেলতে পারবে কি না, তা নিয়েই প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিল।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee) এবং সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পাশে দাঁড়ানোয় ইনভেস্টর সমস্যা তো আগেই মিটে গিয়েছিল। শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের নাম জুড়ে নতুন কোম্পানির নামে আইএসএলের বিডও জমা দেওয়া হয়েছিল। তাহলে কেন তীর এসে তরী ডোবার সম্ভাবনা তৈরি হল? জানা গিয়েছে, ক্লাবের তরফে ইনভেস্টরের কাছে যে বন্ড যাওয়ার কথা ছিল, তা এখনও যায়নি। তাই আর কয়েকটা দিন অপেক্ষার পর ক্লাবের সঙ্গে নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারে ইনভেস্টররা।
আসলে দিনকয়েক আগে ক্লাবের বিশেষ সাধারণ সভায় কয়েকজন সদস্য শ্রী সিমেন্টের সঙ্গে চুক্তির কয়েকটি শর্ত মানতে নারাজ ছিলেন। প্রথমত, ভবিষ্যতে ক্লাব ও ইনভেস্টরের মধ্যে কোনও বিষয়ে মতানৈক্য হলে কোম্পানির সংবিধানই অগ্রাধিকার পাবে। দ্বিতীয়ত, ইনভেস্টরদের দেওয়া শর্তে এক্সিকিউটিভ কমিটির ভূমিকা বা গুরুত্ব অনেকখানি কমে যাবে। ফলে একইসঙ্গে হ্রাস পাবে বিভিন্ন ক্রীড়া বিভাগের সচিবদের ক্ষমতা। এই সমস্ত বিষয়গুলি মানতে পারেননি সদস্যদের একাংশ। তাই সবমিলিয়ে জট খুলেও যেন নতুন করে পরিস্থিতি কঠিন হয়ে উঠেছে।
এদিকে, সোমবারই হাই কোর্টে অ্যাডভোকেট জেনারেলের কিশোর দত্ত সঙ্গে রুদ্ধশ্বাস বৈঠক হয় লাল-হলুদের শীর্ষকর্তা নীতু সরকার-সহ আরও কয়েকজন কর্তার। প্রায় দু’ঘণ্টার উপর চলে আলোচনা। আর তাতেই পরিস্থিতি যে জটিল, তা অনেকটাই আন্দাজ করা যাচ্ছে।