টুর্নামেন্টের এখনও পর্যন্ত চার ম্যাচের তিনটেতেই জয়। দিল্লির বিরুদ্ধেও আইপিএলে জয়ের গ্রাফ দুর্দান্ত। সেটাই কি কাল হল আরসিবির? কট বিহাইন্ড হয়ে ফিঞ্চ ফিরে যাওয়ার পর যখন নর্ৎজের ডেলিভারিতে শিখর ধাওয়ান ক্যাচ ধরে এবি ডিভিলিয়ার্সকে প্যাভিলিয়নের রাস্তা দেখালেন, তখনই ছবিটা যেন স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল। তবে শুধু ব্যাটসম্যানদের দোষ দিলেই চলবে না। দুবাইয়ের মাঠে দিল্লির (DC) বিরাট রানের খানিকটা কৃতিত্ব প্রাপ্য আরসিবির (RCB) জঘন্য ফিল্ডিংয়েরও।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে হায়দরাবাদকে হারিয়ে আইপিএলের শুরুটা করেছিল আরসিবি। কিন্তু সেদিনও দলের নড়বড়ে ফিল্ডিং চিন্তায় রেখেছিল ব্যাঙ্গালোর (RCB) শিবিরকে। কোহলির মতো দুর্দান্ত ফিল্ডারও যদি বিপক্ষের ব্যাটসম্যানকে সহজ রান আউট করতে না পারেন, তাহলে জয় কঠিন হয়ে যায় বইকী। সোমবার অনন্য দুই রেকর্ডের মালিক হলেন তিনি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রানও তাঁর ঝুলিতে। কিন্তু নিজের নজির গড়ার দিনটা স্মরণীয় করে রাখতে পারলেন না। বরং বিরাট ব্যবধানে হেরে নেট রান রেট অনেকটাই বাড়িয়ে ফেলল কোহলি অ্যান্ড কোং।
টি-টোয়েন্টিতে একটি দলের হয়ে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার রেকর্ড গড়েন কোহলি। ১৯৭ নম্বর ম্যাচে নেমেছিলেন আজ। এর আগে সামারসেটের জেমস হিলড্রেথের (১৯৬) এই রেকর্ড ছিল। আবার প্রথম ভারতীয় হিসেবে টি-টোয়েন্টিতে ন’হাজার রানও এদিন পকেটে পোরেন তিনি। কিন্তু এদিন কোহলি-ডিভিলিয়ার্স নয়, চর্চায় তরুণ তুর্কিরা। পৃথ্বী শ, রাবাডারা ব্যাটে-বলে আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন, কেন এবার তাঁরাও ফেভারিটদের তালিকায় অন্যতম। রাবাডা একাই তুলে নেন চারটি উইকেট। নর্ৎজেও হুঙ্কার দিয়েছিলেন আরসিবির বিরুদ্ধে জয় ছিনিয়ে নেওয়ার। এবিকে আউট করে মোক্ষম আঘাত হানেন আরসিবির ব্যাটিং লাইন আপে। দুটি উইকেট আসে তাঁর ঝুলিতে।
ব্যাঙ্গালোরের হয়ে সিরাজের দুটি উইকেট ও ওয়াসিংটন সুন্দরের ৪ ওভারে কুড়ি রান ছাড়া বাকি তেমন কিছু বলার মতো নেই। তবে একটা হারে আত্মবিশ্বাসে হারাচ্ছেন না ক্যাপ্টেন কোহলি। ম্যাচ শেষে বলেন, “ওরা শুরুটা ভাল করেছিল। আমরা বেশ কিছু সহজ সুযোগ হারিয়েছি। তবে পাঁচটার মধ্যে তিনটে ম্যাচে আমরা জয়ী। সেটাই ভাল ব্যাপার। আজকের রাতটা আমাদের ছিল না।”