পাঞ্জাব এবং চেন্নাই, দুই ম্যাচের ডেথ ওভারে ভাল বোলিং জয় এনে দিয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্সকে (Kolkata Knight Riders)। কিন্তু শারজার ছোট মাঠে বিরাট–ডি’ভিলিয়ার্সদের কাছে কার্যত উড়ে গেলেন নাইটরা। ব্যাটে–বলে দুরন্ত খেলল আরসিবি (Royal Challengers Bangalore)। ৮২ রানে নাইটদের হারিয়ে লিগ শীর্ষে থাকা দিল্লি (Delhi Capitals) এবং মুম্বইকে (Mumbai Indians) পয়েন্টের বিচারে ছুঁয়ে ফেললেন বিরাটরা।
এদিন টস জেতেন অধিনায়ক বিরাট (Virat Kohli)। শুরুতেই ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন। উলটোদিকে বোলিং অ্যাকশনের উপর প্রশ্ন ওঠায় দলের অন্যতম ভরসা সুনীল নারিনকে (Sunil Narine) ছাড়াই মাঠে নামেন কার্তিকরা। ফলে প্রথম থেকেই কিছুটা যেন চাপমুক্ত হয়ে ব্যাটিং করতে দেখা যায় দেবদূত পাড়িক্কল–অ্যারন ফিঞ্চ জুটিকে। এরপর কেকেআর বোলারদের উপর দিয়ে কার্যত ছড়ি ঘোরাতে থাকেন এবি ডি’ভিলিয়ার্স। বরুণ চক্রবর্তী বাদে এমন কোনও নাইট বোলার ছিল না, যিনি ডি’ভিলিয়ার্সের কাছে এই ম্যাচে মার খাননি। শেষপর্যন্ত মাত্র ৩৩ বলে ৭৩ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান। মারেন ৫টি চার ও ৬টি ছয়। অন্যদিকে, এদিনও রান পান বিরাট। তিনি করেন ২৮ বলে অপরাজিত ৩৩ রান। KKR বোলারদের মধ্যে বরুণ কোনও উইকেট না পেলেও দুর্দান্ত বোলিং করেন। ডি’ভিলিয়ার্সের ব্যাটে ভর করেই নির্ধারিত ২০ ওভারে মাত্র দু’উইকেটে ১৯৪ রান তোলে আরসিবি।
১৯৫ রান তাড়া করতে নেমে এদিন পুরোপুরি ব্যর্থ কেকেআর ব্যাটিং লাইন আপ। নারিনের জায়গায় সুযোগ পাওয়া টম ব্যান্টন করলেন ৮ রান। ব্যর্থ রানা (৯), কার্তিক (১), মর্গ্যান (৮), রাসেল (১৬)। শুভমন চেষ্টা করলেও ৩৪ রানে রানআউট হয়ে যান তিনি। শেষপর্যন্ত ৮২ রান দূরেই থেমে যায় কেকেআরের ইনিংস।
বলতে গেলে আরসিবির বোলারদের অসাধারণ বোলিং এদিন কোনও নাইট ব্যাটসম্যানকেই মাথা তুলে দাঁড়াতে দেননি। বিশেষ করে চাহাল এবং সুন্দরের স্পিন জুটি। এই দু’জনে মিলে মোট আট ওভার বল করে ৩২ রান দেন। আর তুলে নেন নাইটদের মূল্যবান তিনটি উইকেট। আরসিবির অন্য বোলাররাও এদিন দুর্দান্ত বোলিং করেন।