ক্রিকেট, ফুটবল, অ্যাথলেটিক্স, হকির পরে এ বার দেশের অলিম্পিক্স সংস্থার মাথাতেও ক্রীড়াবিদকে বসাল কেন্দ্র। ক্রীড়াবিদ পিটি ঊষা হলেন ভারতের অলিম্পিক্স সংস্থার নতুন সভাপতি। তিনিই প্রথম মহিলা যিনি এই পদে বসলেন।
ভারতের অলিম্পিক্স সংস্থার সভাপতি পদে নির্বাচন ছিল আগামী ১০ ডিসেম্বর। শুক্রবার থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং অফিসার উমেশ সিন্হা জানিয়েছেন, ঊষা ছাড়া আর কেউ সভাপতি পদে মনোনয়ন জমা দেননি। শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে রবিবার। আর কেউ মনোনয়ন জমা না দেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অলিম্পিক্স সংস্থার সভাপতি হয়েছেন তিনি।
টুইট করে ঊষাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি লিখেছেন, ‘‘ভারতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় কিংবদন্তি ক্রীড়াবিদ পিটি ঊষাকে শুভেচ্ছা জানাই। আরও যে সব ক্রীড়াব্যক্তিত্ব দেশের অলিম্পিক্স সংস্থায় এলেন তাঁদেরও শুভেচ্ছা। সবাইকে নিয়ে গর্বিত।’’
এর আগে নিজের মনোনয়ন জমা দেওয়ার কথা টুইট করে জানিয়েছিলেন ঊষা। বলেছিলেন, ‘‘সতীর্থ ও জাতীয় ফেডারেশনের সমর্থন পেয়ে আমি সম্মানিত। জাতীয় অলিম্পিক্স সংস্থার সভাপতি পদের জন্য মনোনয়ন জমা দিয়েছি।’’
ঊষা ভারতের অন্যতম সেরা মহিলা ক্রীড়াবিদ। ১৯৮৪ সালের লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক্সে ৪০০ মিটার হার্ডলসের ফাইনালে অল্পের জন্য পদক হাতছাড়া হয়েছিল ঊষার। চতুর্থ হয়েছিলেন তিনি। ১৯৮২ থেকে ১৯৯৪ সালের মধ্যে এশিয়ান গেমসে ১১টি পদক জিতেছিলেন ঊষা। তার মধ্যে ছিল চারটি সোনা। ১৯৮৬ সালের সোল এশিয়ান গেমসে ২০০ মিটার, ৪০০ মিটার, ৪০০ মিটার হার্ডলসে ও ৪ X ৪০০ মিটার রিলে রেসে সোনা জিতেছিলেন তিনি। ১৯৮২ সালে দিল্লি এশিয়ান গেমসেও ১০০ মিটার ও ২০০ মিটার দৌড়ে পদক জিতেছিলেন ঊষা।
১৯৬০ সালের পরে আবার কোনও ক্রীড়াবিদ দেশের অলিম্পিক্স সংস্থার মাথায় বসলেন। এর আগে ১৯৩৮ থেকে ১৯৬০ সাল পর্যন্ত এই সংস্থার সভাপতি ছিলেন মহারাজা যাদবেন্দ্র সিংহ। ১৯৩৪ সালে একটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলেন তিনি।