জ়িম্বাবোয়ের কাছে হার! বিশ্বাসই করতে পারছেন বাবর আজ়ম। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তুলনায় সহজ প্রতিপক্ষের কাছে হারের পর হতাশায় ডুবেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক। তাঁর দাবি, কম ব্যাটার খেলিয়েই হারতে হয়েছে বৃহস্পতিবারের ম্যাচ।
ভারতের বিরুদ্ধেও শুরুতে চাপে পড়লেও পাকিস্তানের ইনিংস পরে সামলে নেন মিডল অর্ডার ব্যাটাররা। কিন্তু জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে পাল্টা লড়াই করতে পারেনি দল। ব্যাটাররাই কি দায়ী জ়িম্বাবোয়ের কাছে হারের জন্য? ব্যাটাররা জয়ের জন্য ১৩১ রান তুলতে না পারলেও বাবর বলেছেন, ভাল বোলিং করতে পারেননি তাঁরা।
পাক অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘কখনও কখনও খুব হতাশ লাগে। ক্রিকেটের তিন বিভাগেই আমরা খারাপ খেলেছি। এমন হারের পর অজুহাত দেওয়ার কোনও অর্থ হয় না। দল হিসাবে অবশ্যই আমরা ভাল। তাই এই ফল অপ্রত্যাশিত।’’ এমন হারের কারণ কী? বাবর বলেছেন, ‘‘প্রথম ছয় ওভারে আমরা ভাল বল করতে পারিনি। নতুন বলে আমাদের পারফরম্যান্স একদমই যথাযথ মানের নয়। মাঝের ওভারগুলোয় অবশ্য ভাল বোলিং করেছি আমরা। সে জন্যই জ়িম্বাবোয়েকে ১৩০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে পেরেছি। ব্যাটিংয়ের কথা জিজ্ঞেস করলে বলব, বিপর্যয়। আমি আর মহম্মদ রিজ়ওয়ান শুরুতেই আউট হয়ে গেলাম। পরে শান মাসুদ এবং শাদাব খান জুটি তৈরি করেছিল। শাদাব আউট হতেই পর পর উইকেট চলে গেল আমাদের। ব্যাটিংয়ে ধস নামল।’’
ব্যাটিংয়ে কী সমস্যা হল? বাবর বলেছেন, এক জন কম ব্যাটার নিয়ে খেলাই তাঁদের কাল হয়েছে। পাক অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘উইকেট জোরে বোলারদের সহায়ক ছিল। সেই মতোই পরিকল্পনা করি আমরা। সে জন্য অতিরিক্ত জোরে বোলার হিসাবে মহম্মদ ওয়াসিম জুনিয়রকে খেলানোর কথা ভাবা হয়।’’
জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ওয়াসিম ২৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন। এই তথ্য দিয়ে বাবর বোঝাতে চেয়েছেন ওয়াসিমকে প্রথম একাদশে রাখা সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল। যদিও মেনে নিয়েছেন, অতিরিক্ত এক জন জোরে বোলার খেলানোর জন্য দলের ব্যাটিং গভীরতা কমে যায়। তারই মূল্য চোকাতে হয়েছে জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে। অর্থাৎ উইকেটের চরিত্র বুঝে প্রথম একাদশ সাজাতে গিয়েই বিপত্তি হয়েছে জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে।
পর পর দু’ম্যাচ হারের পরেও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী বাবর। পাক অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘আমাদের হাতে দু’দিন সময় রয়েছে। সবাই এক সঙ্গে বসব। নিজেদের ভুলগুলো নিয়ে কথা বলব। পরের ম্যাচেই শক্তিশালী ভাবে ফিরে আসব আমরা।’’ আগামী ৩০ অক্টোবর পাকিস্তানের পরের প্রতিপক্ষ নেদারল্যান্ডস।