ব্যাটে–বলে দুরন্ত চেন্নাই, টানা দু’‌ম্যাচ হারের পর ফের জয়ের সরণীতে ধোনিরা

পরপর তিনটি ম্যাচে হারের পর একটি জয়। কিন্তু কেকেআর এবং আরসিবির কাছে হারের পর ফের শুরু হয়েছিল সমালোচনা। সেই সমালোচনারই যোগ্য জবাব এবার দিল চেন্নাই। ব্যাট হাতে অধিনায়ক ধোনি ব্যর্থ হলেও চেন্নাইয়ের বাকি খেলোয়াড়দের ব্যাটে–বলে দুরন্ত পারফরম্যান্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে এনে দিল ২০ রানে সহজ জয়।

এদিন টস জেতেন ধোনি আর প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। তবে ওপেনিং জুটিতে বদল দেখা যায়। ওয়াটসন–ডু’‌প্লেসির বদলে ওপেন করেন স্যাম কুরান ও ডু’‌প্লেসি। প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান শূন্য রানে ফিরলেও ২১ বলে ৩১ রান করেন কুরান। এরপর ওয়াটসন–অম্বাতি রায়াডু জুটি চেন্নাইয়ের ইনিংসের হাল ধরেন। দু’‌জনে মিলে জুটিতে ৮১ রান যোগ করেন। ওয়াটসনের সংগ্রহ ৪২ রান। রায়াডুর ৪১ রান। অন্যদিকে, এদিন অধিনায়ক ধোনি শুরুটা ভালই করেছিলেন। কিন্তু ১৩ বলে ২১ রান করে আউট হন। শেষদিকে জাদেজার ঝোড়ো ১০ বলে ২৫ রানের ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে চেন্নাই তোলে ছ’‌উইকেটে ১৬৭ রান। নটরাজন, সন্দীপ এবং খলিল দু’‌টি করে উইকেট পান।

এদিকে, ১৬৮ রান তাড়া করতে নেমে ৩০ রানের মধ্যেই ওয়ার্নার এবং মনীশ পাণ্ডের উইকেট হারিয়ে বসে হায়দরাবাদ। আর পিচে বল স্পিন হতে শুরু হওয়ার পরই ম্যাচের রাশ চলে যায় চেন্নাইয়ের হাতে। ভাল শুরু করেও জাদেজার বলে বোল্ড হয়ে যান বেয়ারস্টো (‌২৩)। দ্রুত ফিরে যান প্রিয়ম গর্গও। এরপর উইলিয়ামসন ও বিজয় শংকর জুটি দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ‌কিন্তু বিজয়ও ১২ রান করে ফিরে যান। এরপর হায়দরাবাদের শেষ আশা উইলিয়ামসনও ৫৭ রানে আউট হয়ে ফিরে যান। শেষদিকে রশিদ খান কিছুটা চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। এর মধ্যেই ১৯ তম ওভারে একটি ওয়াইড দেওয়া নিয়ে বিতর্কও দেখা দেয়। যদি ম্যাচ আরও হাড্ডাহাড্ডি হতো তাহলে ওই বলটি ওয়াইড না দেওয়ায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তও প্রশ্নের মুখে পড়তে পারত। শেষপর্যন্ত অবশ্য ২০ রান দূরেই থেমে যায় হায়দরাবাদের ইনিংস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.