IPL-এ টানা দ্বিতীয় ম্যাচে হারের মুখ দেখল চেন্নাই সুপার কিংস (Chennai Super Kings)। রান তাড়া করতে নেমে ফের হল ব্যর্থ মহেন্দ্র সিং ধোনির (Mahendra Singh Dhoni) দল। তাও আবার অধিনায়কের অনন্য রেকর্ডের দিনেই। আর ৪৪ রানে ম্যাচ জিতে শ্রেয়স আইয়ারের দিল্লি ক্যাপিটালস (Delhi Capitals) ফের প্রমাণ করে দিল কেন তাঁদের এবারের টুর্নামেন্টের সেরা দল হিসেবে ধরা হচ্ছে! ব্যাটিং-বোলিং-সমস্ত বিভাগেই চেন্নাইকে টেক্কা দিল দিল্লি।
তবে ম্যাচ হারলেও অনন্য রেকর্ড গড়লেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’। আইপিএলে এখনও পর্যন্ত ১৯৩ ম্যাচ খেলে ছুঁয়ে ফেললেন সুরেশ রায়নার (Suresh Raina) সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার রেকর্ড। চোট বা অন্য কোনও কারণে বাদ না পড়লে আগামী ম্যাচেই এই রেকর্ডের একক মালিক হয়ে যাবেন ধোনি। তারপর আর ছ’টি ম্যাচ খেলতে পারলেই প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে আইপিএলে ২০০ ম্যাচ খেলার নজির গড়বেন তিনি। বড় কোনও অঘটন না ঘটলে চলতি আইপিএলেই তার সাক্ষী থাকতে পারবেন ধোনি–ভক্তরা।
এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। কিন্তু দিল্লির দুই ওপেনার শিখর ধাওয়ান এবং পৃথ্বী শ দুরন্ত শুরু করেন। প্রথম থেকেই মারকাটারি ব্যাটিং করতে থাকেন তাঁরা। প্রথম উইকেটে ১০.৩ ওভারে যোগ করেন ৯৪ রান। তবে এরপরই ব্যক্তিগত ৩৫ রানের মাথায় প্যাভিলিয়নে ফেরেন ধাওয়ান। তবে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন পৃথ্বী। আউট হওয়ার আগে তাঁর সংগ্রহ ৪৩ বলে ৬৪ রান। এরপর অধিনায়ক শ্রেয়স এবং ঋষভ দলের রান এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। ২৬ রানে শ্রেয়স আউট হলেও ২৫ বলে ৩৭ রান করে অপরাজিত থাকেন পন্থ। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেটে ১৭৫ রানেই থামে দিল্লির ইনিংস। প্রথম দশ ওভারের তুলনায় পরের দশ ওভারে চেন্নাই বোলারদের বোলিং পারফরম্যান্স কিছুটা হলেও ভাল হয়। আর সেকারণেই দিল্লির রান ২০০–র গণ্ডি পেরোয়নি। সিএসকে–র হয়ে চাওলা দু’টি উইকেট নেন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ফের মন্থর শুরু করে চেন্নাই। ফলস্বরূপ বাড়তে থাকে আস্কিং রেট। আর রানের গতি বাড়াতে গিয়ে পরপর বেশ কয়েকটি উইকেট শুরুতেই পড়ে যায়। ওয়াটসন (১৪), বিজয় (১০) কিংবা ঋতুরাজ গায়কোয়াড (৫) কেউই বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। প্রথম দশ ওভারে যেখানে দিল্লি ৯৪ রান তুলেছিল, সেখানে চেন্নাই তোলে মাত্র ৪৭ রান। এর মধ্যে বেশিরভাগ রানই ছিল ডু’প্লেসির।
তবে এদিন সবচেয়ে বেশি নজর ছিল কত নম্বরে ব্যাট করতে নামেন মহেন্দ্র সিং ধোনি? গত দু’টি ম্যাচে এই নিয়েই বারেবারে প্রশ্ন করা হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু দেখা গেল এদিনও যাদবকে নিজের আগে পাঠিয়ে দিলেন তিনি। তবে তিনি আসার পর ডু’প্লেসিকে যোগ্যসঙ্গত দিয়ে রানের গতি কিছুটা বাড়ান। ২১ বলে ২৬ রান করার পর আউট হন কেদার। আর তারপরই নামেন ধোনি। তবে যখন এলেন তখন জয়ের জন্য দলের দরকার ছিল ২৬ বলে ৭৮ রান।
কিন্তু প্রত্যেক দিন ধোনি ম্যাচ জেতাবেন, তা সম্ভব নয়। আর তাই এদিন প্রায় শেষপর্যন্ত মাঠে থাকলেও তাঁর ব্যাট চলল না।১২ বলে করলেন ১৫ রান। যার মধ্যে ছিল কেবল দু’টি চার। শেষে ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৩১ রানে থেমে যায় চেন্নাইয়ের ইনিংস। ৪৪ রানে সহজেই ম্যাচ জেতে দিল্লি ক্যাপিটালস। চেন্নাইয়ের হয়ে সর্বোচ্চ রান করলেন ডু’প্লেসি। ৪৩ রান করেন তিনি। এদিকে, শেষ ওভারে ধোনি–জাদেজাদের কার্যত বোতলবন্দিই করে রাখেন রাবাডা। তৃতীয় বলে ধোনি এবং শেষ বলে জাদেজাকে আউটও করেন। সব মিলিয়ে ২৬ রান দিয়ে তিন উইকেট নেন এই প্রোটিয়া পেসার।