ধাওয়ানের দুরন্ত শতরান, পাঁচ উইকেটে ধোনির চেন্নাইকে হারাল দিল্লি

টি–টোয়েন্টি কেরিয়ারের প্রথম শতরান। আর শিখর ধাওয়ানের সেই শতরানের সৌজন্যেই ১৮০ রানের কঠিন লক্ষ্যমাত্রাও সহজেই পার করে ফেলল দিল্লি। পাশাপাশি চেন্নাইকে (Chennai Super Kings) পাঁচ উইকেটে হারিয়ে শেষ চারে ওঠার আরও কাছাকাছি চলে এলেন রিকি পন্টিংয়ের ছেলেরা।তবে প্রশংসা প্রাপ্য শেষ ওভারে অক্ষর প্যাটেলের ঝোড়ো ব্যাটিংয়েরও।

এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মহেন্দ্র সিং ধোনি (‌Mahendra Singh Dhoni)‌। কিন্তু শুরুতেই স্যাম কুরানকে শূন্য রানে ফেরান দেশপাণ্ডে। তবে এরপর সেই ওয়াটসন–ডু’‌প্লেসি জুটি চেন্নাইয়ের ইনিংসের হাল ধরেন। ওয়াটসন ৩৬ রানে আউট হয়ে গেলেও ডু’‌প্লেসি ফের একটি অর্ধশতরান করলেন। ৪৭ বলে ৫৮ রান করেন এই প্রোটিয়া ব্যাটসম্যান।

তবে এদিনও চলল না ধোনির ব্যাট। মাত্র ৩ রান করেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। শেষপর্যন্ত রায়ডুর ২৫ বলে ৪৫ এবং জাদেজার ঝোড়ো ১৩ বলে ৩৩ রানের সৌজন্যে চার উইকেটে ১৭৯ রান স্কোরবোর্ডে তুলতে সক্ষম হয় চেন্নাই। দিল্লির (Delhi Capitals) বোলারদের মধ্যে দু’‌টি উইকেট নর্ৎজে, একটি করে পান রাবাডা এবং দেশপাণ্ডে। তবে এই একটি উইকেটের সৌজন্যেই অনন্য রেকর্ড গড়লেন এই প্রোটিয়া পেসার। আইপিএলের ইতিহাসে দ্রুততম ৫০ উইকেট নেওয়ার নজির গড়লেন তিনি

জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই শূন্য রানেই পৃথ্বীর উইকেট হারায় দিল্লি। আট রান করে ফিরে যান আজিঙ্ক রাহানেও। কিন্তু এদিন অন্য মুডেই ছিলেন ভারতীয় দলের ‘‌গব্বর’ শিখর ধাওয়ান। প্রথমে শ্রেয়স (২৩‌), পরে স্টোইনিসকে (‌২৪) সঙ্গে নিয়ে পালটা প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। কোন‌‌‌ও চেন্নাই বোলারই রেহাই পাননি তাঁর হাত থেকে।শেষপর্যন্ত ১৯ তম ওভারে নিজের টি–টোয়েন্টি কেরিয়ারের প্রথম শতরানটি পান।
তবে তখনও জয় অধরা ছিল দিল্লির। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ছিল ১৭ রানের। আর এই ওভারে জাদেজাকে পরপর দু’‌বলে দু’‌টি ছয় মারেন অক্ষর প্যাটেল। শেষপর্যন্ত এক বল বাকি থাকতেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় দিল্লি। ৫৮ বলে ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন ধাওয়ান। মারেন ১৪টি চার ও ১টি ছয়। অন্যদিকে, পাঁচ বলে ২১ রান করেন অক্ষর প্যাটেল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.