জায়গা বদলেও সেঞ্চুরি, দুরন্ত সুদীপের সঙ্গে অনুষ্টুপের শতরানে শক্ত বাংলার ভিত

সুদীপ ঘরামির পর এ বার অনুষ্টুপ মজুমদারও শতরান করে ফেললেন। তাও ব্যাটিং অর্ডার বদলে। শেষ বারের রঞ্জিতে ছয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন অনুষ্টুপ। অধিকাংশ ম্যাচে অনুষ্টুপ এবং শাহবাজ আহমেদের জুটি বাংলাকে ম্যাচে বাঁচিয়ে রাখত। সেমিফাইনালে ইডেনে কর্নাটকের বিরুদ্ধে অনুষ্টুপই সেঞ্চুরি করে বাংলাকে জেতার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন।

এ বার তাঁকে খেলতে হচ্ছে চার নম্বরে। মনোজ তিওয়ারির জায়গায়। মনোজ খেলছেন পাঁচে। গ্রুপ পর্ব থেকেই চারেই খেলছেন অনুষ্টুপ। আর এই চারে খেলেই কোয়ার্টার ফাইনালে দুরন্ত ছন্দে সেঞ্চুরি করে ফেললেন তিনি। ছয় থেকে চারে উঠে এলেও পারফরম্যান্সে কোনও প্রভাব পড়েনি তাঁর।

রঞ্জির কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম দিন ঝাড়খণ্ডের বিরুদ্ধে অনুষ্টুপ ৮৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। সেখান থেকে মঙ্গলবার ম্যাচের দ্বিতীয় দিন তিনি ১১৭ রান করে শাহবাজ নাদিমের বলে ক্যাচ আউট হন। তবে তিনি আউট হওয়ার আগে বাংলাকে শক্ত ভিতের উপর দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন। এ দিকে সুদীপ ১৫০ পার করে গিয়েছে। আর বাংলা পার করে ফেলেছে ৪০০ রানের গণ্ডি।

অভিষেক রমন প্রথম দিন রিটায়ার্ড হার্ট হলেও দ্বিতীয় দিন অনুষ্টুপ আউট হলে তিনি আবার ব্যাট করতে নামেন। এবং রমনও হাফসেঞ্চুরি করে ফেলেন। প্রথম দিন পেশির টানের কারণে রমন ৪১ রান করে মাঠ ছেড়েছিলেন। তবে দ্বিতীয় দিন তিনি ৬১ রান করে আউট হন।

সবুজ ঘাসে ভর্তি পিচে টসে জিতে বোলিং করতে দ্বিতীয়বার ভাবতে হয়নি ঝাড়খণ্ড অধিনায়ক সৌরভ তিওয়ারিকে। ঝাড়খণ্ড ভেবেছিল, বাংলাকে প্রথমে ব্য়াট করতে নামিয়ে কম রানে আটকে ফেলবে। সে গুড়ে বালি। বরং ঝাড়খণ্ডের পরিকল্পনাকে ভেস্তে বড় রানের পথে বাংলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.