ওপেনিং জুটি, বোলিং লাইনআপ, টিম কম্বিনেশন, ধারাবাহিক ব্যর্থতার জন্য নাইট অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ারের অজুহাতের তালিকা নিতান্ত ছোট নয়। যদিও মুখে বলেন যে, এমন হারের জন্য কোনও অজুহাত হয় না।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, নাইট শিবির নাকি এখনও বুঝে উঠতেই পারেনি কোথায় সমস্যা হচ্ছে। কেকেআর ক্যাপ্টেনের দাবি, তাঁদের মূল্যায়ন করতে হবে ভুল হচ্ছে কোথায়। তবে এক্ষেত্রে ক্রিকেটারদের তিনি ব্যক্তিগতভাবে সেই পরামর্শই দিচ্ছেন, যা থেকে সচরাচর দূরে থাকতে বলা হয় খেলোয়াড়দের। শ্রেয়স অফ ফর্মে থাকা নাইট তারকাদের ওভার-কনফিডেন্ট হওয়ার আহ্বান জানালেন।
ওয়াংখেড়েতে দিল্লি ক্যাপিটালসের বিরুদ্ধে হারের কারণ হিসেবে শ্রেয়স আইয়ার বলেন, ‘আমাদের শুরুটা হয় অত্যন্ত ধীর এবং গোটা দুয়েক উইকেটও হারাতে হয়। শুরুর দিকে পিচে বল একটু থমকে আসছিল, তবে আমি মনে করি এই পিচে আমাদের টোটাল নিতান্ত কম ছিল। অবশ্য প্রথমার্ধে আমরা যেভাবে খেলছি, তার কোনও অজুহাত হয় না। আমাদের বসে মূল্যায়ন করতে হবে, কোথায় ভুল হচ্ছে।’
ধারাবাহিকভাবে ওপেনিং জুটি বদল নিয়ে শ্রেয়স বলেন, ‘ শেষ কয়েকটা ম্যাচে বিষয়টা সত্যিই কঠিন হয়ে উঠেছে, কেননা আমরা সঠিক ওপেনিং জুটি নির্ধারণ করতে পারিনি। চোটের জন্য ক্রমাগত রদবদল করতে হয়। একটা সুস্থির ব্যাটিং লাইনআপ, এমনকি বোলিং লাইনআপ নির্ধারণ করাও মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়। এই লিগে খেলতে হলে প্রথম ম্যাচ থেকে সঠিক কম্বিনেশন মাঠে নামানো দরকার। ক্লিক করে গেলে টেনে নিয়ে যাওয়া যায়। আমাদের ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে হবে। রক্ষণশীল সিদ্ধান্ত নিলে চলবে না। আর ৫টি ম্যাচ আমাদের হাতে রয়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজির জন্য নিজেদের সবকিছু উজাড় করে দিতে হবে আমাদের।’
ক্রিকেটাররা ফর্মে না থাকলে কীভাবে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলা সম্ভব, এমন প্রশ্নের উত্তরে শ্রেয়স দাবি করেন যে, ক্রিকেটারদের আগের ম্যাচগুলিতে কী হয়েছে, তা নিয়ে ভাবা উচিত নয়। বরং নিজেদের উপর বিশ্বাস রেখে প্রবণতা অনুযায়ী ক্রিকেট খেলা দরকার। প্রয়োজনে নাইট তারকাদের বাড়তি আত্মবিশ্বাসী হওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন শ্রেয়স।’