রবিবারের শুরুতেই দুই সোনা ভারতের ঘরে। দু’টিই এল বক্সিং থেকে। সোনা জিতলেন নীতু এবং অমিত পঙ্ঘল। এ দিনের প্রথম লড়াইয়ে ৪৮ কেজি বিভাগে ইংল্যান্ডের ডেমিস-জেড রেজস্তানকে ৫-০ পয়েন্টে হারালেন নীতু। পরের ম্যাচেই নেমেছিলেন অমিত। তিনি ইংল্যান্ডের কিয়ারান ম্যাকডোনাল্ডকে একই ব্যবধানে হারিয়েছেন। দুই খেলোয়াড়ই দাপটে জয় পেলেন।
নীতু এর আগে যুব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে দু’বার সোনা জিতেছেন। এ বারই প্রথম কমনওয়েলথ গেমসে নেমেছেন। প্রথম বারেই সোনা জিতে নিলেন তিনি। তবে বাবা পাশে না থাকলে বক্সিংয়ে সাফল্য কোনও দিনই পাওয়া হত না তাঁর। তিন বছর কাজ থেকে অবেতন ছুটি নিয়ে মেয়েকে বক্সার বানাবেন বলে উঠে পড়ে লেগেছিলেন তাঁর বাবা জয় ভগবান। সেই পরিশ্রম অবশেষে সফল হল কমনওয়েলথে সোনা পেয়ে।
হরিয়ানার ভিওয়ানি জেলার ধনানা গ্রামে জন্ম নীতুর। প্রথমে একেবারেই বক্সিংয়ে উৎসাহ ছিল না। বাবার ইচ্ছেতেই বক্সিংয়ে আসা। বাবার সঙ্গে স্কুটারে রোজ ৭০ কিমি পাড়ি দিতেন ভিওয়ানি বক্সিং ক্লাবে যাবেন বলে। যে কোনও বক্সারের ক্ষেত্রেই ভাল করে দেখভাল করা প্রয়োজন। ভগবান সিদ্ধান্ত নেন কাজ থেকে অবেতন ছুটি নেওয়ার। তবে ব্যাপারটা সহজ ছিল না একেবারেই। সংসার চালাতে এবং নীতুকে পুষ্টিকর খাবার দিতে হত। সে সময় আত্মীয়দের থেকে টাকা ধার নেন ভগবান। পাশাপাশি, নিজের একটি ছোট চাষের জমি রয়েছে। সেখানে চাষ করে অর্থ উপার্জন করতে থাকেন।
অন্য দিকে, অমিত নিজের বিভাগে ভারতের অন্যতম সেরা বক্সারদের একজন। কমনওয়েলথে এটি তাঁর দ্বিতীয় পদক। গত বার ফাইনালে হেরে রুপো পেয়েছিলেন। এ বার পদকের রং বদলে দিলেন। এশিয়ান গেমসেও সোনা জিতেছেন তিনি। রুপো পেয়েছেন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে। এ ছাড়া এশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে একটি করে সোনা, রুপো এবং ব্রোঞ্জ রয়েছে। জাতীয় প্রতিযোগিতায় একাধিক পদক তো রয়েছেই। কমনওয়েলথেও সোনা জিতে ফেললেন তিনি।