এ যেন এক জাদুকাঠির স্পর্শ। মিডাস টাচ। মহেন্দ্র সিং ধোনি অধিনায়ক হয়ে ফিরতেই বদলে গেল পুরো চেন্নাই সুপার কিংস টিমের বডি ল্যাঙ্গোয়েজ। এ যেন অনেকটা ‘উল্টে দেখো, পাল্টে গেছি’র বিজ্ঞাপন। চেন্নাইয়ের যে ওপেনিং জুটি গত ৮ ম্যাচে মোট ১০১ রান করেছিল, তারাই রবিবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে প্রথম উইকেটে করে ফেলল ১৮২ রান। রুতুরাজ গায়কোয়াড় এবং ডেভন কনওয়ের দাপটেই দু’শো রানের গণ্ডি টপকাল চেন্নাই।
রবিবার টসে জিতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ব্যাট করতে পাঠায় চেন্নাই সুপার কিংসকে। সিএসকে-র হয়ে ওপেন করতে নেমে রুতুরাজ আর কনওয়ে একেবারে ঝড়ো ইনিংস খেলেন। ওপেনিং জুটি ১৭.৫ ওভারে প্রথম উইকেটেই ১৮২ রান করে। ৫৭ বলে ৯৯ করে আউট হন রুতুরাজ। মাত্র ১ রানের জন্য মিস করেন সেঞ্চুরি। তবে দল ম্যাচ জিতে যাওয়ায়, শতরান হাতছাড়া হওয়ার আফসোস আর নেই চেন্নাইয়ের তরুণের। ডেভন কনওয়ে অবশ্য ৫৫ বলে ৮৫ করে অপরাজিত থাকেন।
এ দিন ধনী নিজেও ছিলেন আত্মবিশ্বাসী। রুতুরাজ আউট হতে তিনেই নেমেছিলেন তিনি। ৭ বলে ৮ রান করে টি নটরাজনের বলে উমরান মালিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন ধোনি। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করে চেন্নাই। হায়দরাবাদের হয়ে ২ উইকেটই নেন টি নটরাজন।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে অভিষেক শর্মা এবং কেন উইলিয়ামসন দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন। ২৪ ম্যাচে ৩৯ করে আউট হন অভিষেক। ৩৭ বলে ৪৭ রান করেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক। নিকোলাস পুরান ৩৩ বলে অপরাজিত ৬৪ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন। তবু জেতাতে পারেননি দলকে। কারণ ২০২ রান তাড়া করতে নেমে বাকিরা কেউ-ই ২০ রানের গণ্ডিই টপকাতে পারেননি। নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রান করে দিল্লি। ১৩ রানে ম্যাচ জিতে যায় চেন্নাই। সিএসকে-র মুকেশ চৌধরী একাই ৪ উইকেট তুলে নেন। মিচেল স্যান্টনার এবং ডোয়েন প্রিটোরিয়াস ১টি করে উইকেট নেন।
এ দিনের ম্যাচ জিতে চেন্নাই সুপার কিংস ৯ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে লিগ তালিকার উত্তেজনা বাড়িয়ে দিল। এ দিকে ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চারে থাকলেও চাপ বাড়ল হায়দরাবাদের।