বন্ধুত্ব হয়তো একেই বলে। ম্যাচের ৯০ মিনিটে পুরনো সতীর্থের বিরুদ্ধে ‘যুদ্ধের’ ঘোষণা করেছিলেন নেইমার। তবে ম্যাচ শেষে সেই লিওনেল মেসির কাঁধেই কান্নায় ভেঙে পড়লেন ব্রাজিলয়ান তারকা।
যে কোন নক আউট ম্যাচেই পাশপাশি সম্পূর্ণ দুটি ভিন্ন প্রতিক্রিয়ার দেখা মেলে। একদিকে থাকে বিজয়ের উল্লাস তো অপরদিকে শুধুই পরাজয়ের গ্লানি। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে হারিয়ে অবশেষে আন্তর্জাতিক খেতাব উঠেছে লিওনেল মেসির হাতে। তবে তাঁর স্বপ্নপূরণের রাতেই স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে একদা বার্সেলোনা সতীর্থ ও কাছের বন্ধু নেইমারের।
গতবার চোটের কারণে সেলেসাওয়ের কোপা জয়ী দলের অংশ থাকতে পারেননি নেইমার। এইবার সেই অধরা খেতাব জিতে নিতে বদ্ধপরিকর ছিলেন ব্রাজিলের ১০ নম্বর জার্সিধারী। তবে তীরে এসে তরী ডুবল। গোটা টুর্নামেন্টে দুরন্ত খেলেও ফাইনালে বাধা অতিক্রম করতে পারল না নেইমারের ব্রাজিল।
স্বাভাবিকভাবেই নিজের প্রথম বড় আন্তর্জাতিক খেতাব হাতছাড়া করে হতাশ নেইমার। ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজলে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। তবে জয়ের উচ্ছ্বাসের মধ্যেই তাঁর পাশে এসে দাঁড়ান লিও মেসি। আলিঙ্গন করে হয়তো আবারও নতুন করে যুদ্ধে নামার নতুন উদ্যমের মন্ত্রই দিলেন নেইমারকে।
ম্যাচ শেষে দুই বন্ধুর আবেগঘন মুহূর্তে যেন জয়, পরাজয়, উচ্ছ্বাস, হতাশা সবকিছু সময়ের জন্য পিছনের সারিতে চলে গেল। সুস্পষ্ট এল দুই তারকার একে অপরের প্রতি ভালবাসা ও প্রগাঢ় সম্মান। ফুটবল তো এমনভাবেই সবকিছুকে মিলিয়ে মিশিয়ে দিতে সিদ্ধহস্ত। আবারও বিরোধ, জয়-পরাজয়ের উর্ধ্বে মুখোরিত হল ভালবাসার ধ্বনি।