অলিম্পিকের জার্সি প্রসঙ্গে ভারতকে নিরপেক্ষ হতে বলল চিন

দেশবাসীর ভাবাবেগের দিকে নজর রেখে অলিম্পিকগামী ভারতীয় অ্যাথলিটদের পোশাক তৈরির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী চিনা সংস্থা লি নিংকে(Li Ning)। ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের(IOA) প্রেসিডেন্ট ডক্টর নরিন্দর ধ্রুব বাত্রা(Dr. Narinder Dhruv Batra) এবং সেক্রেটারি-জেনারেল রাজীব মেহতা(Rajeev Mehta) একটি অফিসিয়াল বিবৃতি প্রকাশ করে এই কথাটি ঘোষণা করেছেন। আগামী ২৩ জুলাই থেকে শুরু হবে টোকিও অলিম্পিক(Tokyo Olympics)। কিন্তু টুর্নামেন্টটি শুরুর প্রাক্কালে অ্যাথলিটদের পোশাক নিয়ে তৈরি হওয়া এই বিতর্ক যেন কিছুতেই থামতে চাইছে না। অলিম্পিকে ভারতীয় দলের পোশাক তৈরির দায়িত্ব থেকে লি নিংকে সরানো নিয়ে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মিডিয়া ব্রিফিংয়ের সময় তাঁদের মতামত জানতে চাওয়া হলে সেদেশের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়্যাং ওয়েনবিন(Wang Wenbin) ভারতকে বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি করতে বারন করেন।

চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র ওয়্যাং ওয়েনবিন(Wang Wenbin) এবিয়য়ে বলেন, ‘আমরা আশা করব আমাদের দু’দেশের পারস্পরিক সহায়তার স্বাভাবিক বিষয়টির রাজনীতিকরণ না করে ভারত সেটাকে বস্তুনিষ্ট(Objective) এবং নিরপেক্ষভাবে(Fair) দেখবে। আর যদি নির্দিষ্ট কোনও বানিজ্যিক চুক্তির বিষয়ে বলা হয়, তবে আমি সেই বিষয়ে কিছু জানি না’। দেশবাসীর আবেগের কথা মাথায় রেখে ভারতের ক্রীড়ামন্ত্রকই ইন্ডিয়ান অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে(IOA) চিনা পোশাক প্রস্তুতকারী সংস্থাকে ভারতীয় দলের পোশাক তৈরির দায়িত্ব থেকে সরানোর উপদেশ দিয়েছিল এবং সেকথা মেনে নিয়ে লি নিংকে(Li Ning) দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

গতকাল সন্ধের দিকে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী কিরেণ রিজিজু(Kiren Rijiju) অ্যাথলিটদের পোশাক নিয়ে টুইটারে লেখেন, ‘টোকিও অলিম্পিকে ভারতের অ্যাথলিট, কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফেরা কোনও ব্র্যান্ডেড পোশাক পড়বে না। আমাদের অ্যাথলিটদের কিটে শুধুমাত্র ‘ইন্ডিয়া’ লেখা থাকবে’।

দীর্ঘ সময় ধরে ভারতের সঙ্গে চিনের আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে নানা বিষয়ে বিরোধ লেগেই রয়েছে। গত বছর পূর্ব লাদাখে দু’দেশের সেনাবাহিনীর আমনা-সামনা(Face-off) হওয়ার পর পরিস্থিতি এতটাই খারাপ হয়ে যায় যে, একাধিক চিনা সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞাও জারি করার পাশাপাশি দেশবাসীকেও চিনা সরঞ্জাম বয়কট করার কথা বলা হয়। এই কারণেই গত বছর চিনা মোবাইল প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে আইপিএলের(IPL) স্পনসরশিপের ৪৪০ কোটি টাকার বার্ষিক চুক্তিও স্থগিত রেখেছিল বিসিসিআই(BCCI)। যদিও এই বছর আবার আইপিএলের স্পনসর হিসেবে ফিরে এসেছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাটি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.