‘রান তাড়া করাটা সহজ ছিল না, ক্লাসেন অন্য মাত্রা যোগ করে দেয়’, দাবি বাভুমার

কুইন্টন ডি’ককের জায়গায় শেষ মুহূর্তে দলে সুযোগ পেয়েছিলেন হেনরিখ ক্লাসেন। প্রথম কয়েকটি বল দেখে নেওয়ার পর থেকেই হাত খুলে মারতে শুরু করেন তিনি। সাতটি চার ও পাঁচটি ছয়ের সাহায্যে ৪৬ বলে ৮১ করেন ক্লাসেন। তাঁর এই ইনিংসের হাত ধরেই ঘুরে যায় দক্ষিণ আফ্রিকার ভাগ্য।

যে কারণে ম্যাচের পর উচ্ছ্বসিত বাভুমা বলেন, ‘এই গেম থেকে আমি কিছু শিখতে পেরেছি। পরের ম্যাচে আরও ভালো করার চেষ্টা করব। আমরা জানতাম, এই রান তাড়া করাটা সহজ হবে না। কিন্তু আমরা আত্মবিশ্বাসী ছিলাম। আমরা জানতাম আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে হবে, এবং আমাদের ক্লিনিকাল হতে হবে। আমরা ওকে (মিলার) ৫ বা ৬ ব্যবহার করতে পারি। আর ক্লাসেন আমাদের ব্যাটিংয়ে অন্য মাত্রা যোগ করেছে। আপনার ভূমিকা যাই হোক না কেন, আপনাকে যতটা সম্ভব সেটা ঠিক করে পালন করতে হবে।’

তিনি ফের রান তাড়া করে জয়ের প্রসঙ্গে বলেছেন, ‘রান তাড়া করে জেতাটা কঠিন ছিল।ভুবি ভালো বোলিং করেছে,। ওর জন্য সমস্যাতেও পড়তে হয়। তবে এক জন কাউকে শেষে দায়িত্ব নিতে হত। আমি সেই ভূমিকা পালন করি।’

ভারতের ১৪৮ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১০ বল বাকি থাকতেই ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতে, পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ এগিয়ে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম ম্যাচে নায়ক মিলার হলেও, এই ম্যাচে নিশ্চিত ভাবেই নায়ক হন ক্লাসেন। কঠিন পিচে কার্যত হেলায় ভারতীয় বোলারদের দুরমুশ করেন তিনি। ঋষভ পন্তের নেতৃত্বে দ্বিতীয় সারির দল নিয়ে খেলতে গিয়ে ঘরের মাঠে কার্যত মুখ পোড়ার জোগাড় ভারতের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.